উলিপুর (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরশহরে প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় বুড়ি তিস্তা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, নদীর পাড় কেটে অপসারণ, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (০৫ মে) দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং পরিবেশবাদী যুব সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েসথ উলিপুর উপজেলা শাখার যৌথ আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
‘বুড়ি তিস্তাকে শাসন করো, উলিপুরের পরিবেশ রক্ষা করোথ এই প্রতিপাদ্যে গ্রীন ভয়েস উলিপুর শাখারা যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরভ ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গ্রীন ভয়েসের রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক রবিউল ইসলাম রুবেল, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরনবী সরকার, উলিপুর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম আনছারী, বাপা'র সদস্য মতলেবুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা ফিরোজ কবির কাজল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-দিনে-রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। নদীর তলদেশ খনন করে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ তিস্তা নদীর উৎসমুখ খনন কাজ এবং অবৈধ বালু উত্তোলন ও দখলদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ দাবি তোলা হয়। জানা গেছে, ১৯৮৮ সালের বন্যায় উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াইপিয়ারে নির্মিত স্লুইস গেটটি তিস্তা নদীর গর্ভে চলে যায়। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিতভাবে বুড়ি তিস্তার উৎস মুখে বাঁধ নির্মাণ করেন। ফলে বুড়ি তিস্তার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে, দখল আর দুষণে প্রমত্তা বুড়ি তিস্তা মরা খালে পরিণত হয়। দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের পর ডেলটা প্ল্যান কর্মসূচির আওতায় ১৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নদীটি খনন করা হয়। সেই বুড়িতিস্তা নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আবারো দখলের পাঁয়তারা করছেন একটি মহল। পৌরশহরের গুনাইগাছ ব্রিজ জোদ্দারপাড়া এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণসহ নদীর পাড় কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি মহল।
এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার সাহা বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।