মৌলভীবাজার শহরের আদালত সড়কের জজ কোর্টের বিপরীতে দীর্ঘদিন যাবৎ বেদখলে থাকা জেলা প্রশাসনের ভূমি থেকে নিজেদের স্থাপনা অপসারণ করার নোটিশের ১১ মাস অতিবাহিত হলেও কোন অজ্ঞাত কারণে ভূমি থেকে সরে যাচ্ছেন না দখলদারেরা। জেলা প্রশাসন অফিস থেকে দেয়া নোটিশ অমান্য করে এখনো আধাপাঁকা স্থাপনায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন দখলদারেরা। কোন জোরে তারা জমি ছাড়ছেন না এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বমহলে। এদিকে শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়কের ওই জায়গা কয়েক যুগ যাবৎ বেদখলে থাকায় প্রতিনিয়ত যানঝট লেগেই আছে। এতে দায়সাড়া কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা ভূমি অফিসের দুটি স্মারকের মুলে প্রেরিত প্রতিবেদন অনুযায়ী মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নিশ্চিত হয়েছেন যে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলাধীন ১০৫ নং জে.এল.স্থিত মৌলভীবাজার মিউনিসিপ্যালিটি মৌজার ৭৮২৩, ৭৮২৪, ৬৮২৫, ৭৮২৬, ৭৮২৭, ৭৮২৮, ৭৮২৯, ৭৮৩০, ৭৮৩১, ৭৮৩২, ৭৮৩৩, ৭৮৩৪, ৭৮৩৫, ৭৮৩৬ এই ১৪টি দাগের ৯.৮৪ শতক ভূমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন ১৮ ব্যক্তি। সংশ্লিষ্ট কার্যালয় সূত্র আরও জানায়, সরকার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভুমি ও ইমারত (দখল ও পুনরুদ্ধার) অধ্যাদেশ, ১৯৭০ এর ৫ (১) ধারা এবং তৎসহ পিও ৮৫/৭২ অনুযায়ী নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে এই তফসিল বর্ণিত ভূমি হতে ¯’াপনা অপসারণপূর্বক অবৈধ দখল ত্যাগ করার জন্য অবৈধ দখলদারদেও অনুরোধ করা হয়। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকার এ জমির মূল্য আকাশসম। তারা জানিয়েছেন, প্রতি শতক জমি সর্বনিম্ন ১৫ লাখ টাকা ধরা হলে ৯.৮৪ শতকের দাম পড়ে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এদিকে বেদখল ছেড়ে কেন যাচ্ছেন না এমনটা জানতে চাইলে দখলদাররা জানান জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অপসারণের নোটিশ পাবার পর আদালতে আমরা মামলা দায়ের করেছি। মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তার বলেন, শুনেছি জমি নিয়ে একটি মামলা রয়েছে। সহকারি কমিশনার (ভূমি) সদরের সাথে কথা বলে বিষয়টি দেখছি।
গ্রাম-গঞ্জ-শহর
মৌলভীবাজার শহরে দেড় কোটি টাকার জমি দখল
মৌলভীবাজার শহরের আদালত সড়কের জজ কোর্টের বিপরীতে দীর্ঘদিন যাবৎ বেদখলে থাকা জেলা প্রশাসনের ভূমি থেকে নিজেদের স্থাপনা অপসারণ করার নোটিশের ১১ মাস অতিবাহিত হলেও কোন অজ্ঞাত কারণে ভূমি থেকে সরে যাচ্ছেন না দখলদারেরা।
স্থান
মৌলভীবাজার