কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নন বরং জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন সমাজসেবী ও ক্রীড়ানুরাগি ফরিদ আহমদ। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তন পরবর্তী সময়ে এলাকার একটি চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হন। মাদক ও চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করেন। শুধু এই কারণেই ঐ চক্রের রোশানলে পড়েন তিনি। অতপর জুলাই ছাত্র-আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন সজ্জন ব্যক্তি ফরিদ।

সমাজসেবী ফরিদ আহমদের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। শুক্রবার বাদ জুমআ হাজার হাজার মানুষ তার মুক্তির দাবীতে রাজপথে নামেন। ৩ দিনের মধ্যে তাকে মুক্তির দাবী জানিয়ে আল্টিমেটামও দেন তারা।

কুচক্রী মহল কর্তৃক সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৭নং ওয়ার্ডের মোগলীটুলা পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক, মোগলীটুলা নতুন জামে মসজিদ কমিটির সদস্য, আইডিয়াল ইয়ূথস’র সভাপতি, সমাজসেবক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ফরিদ আহমদকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বাদ জুমাআ নগরীর সুবিদবাজার পয়েন্টে বন কলাপাড়া নূরানী এলাকাবাসীর উদ্যোগে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে মোগলীটুলা পঞ্চায়েত কমিটি, মোগলীটুলা নতুন জামে মসজিদ কমিটি, সামাজিক সংগঠন আইডিয়াল ইয়ূথস, রংধনু ফুটবল একাডেমি, লাল-সবুজ সমাজকল্যাণ সংস্থা, ওমর কাঠগড় সমাজকল্যাণ সংস্থা, হাজীপাড়া যুব সংঘ, অগ্রণী তরুণ সংঘসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পৃথক ব্যানার সহকারে কয়েক সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন এবং সংহতি প্রকাশ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফরিদ আহমেদ একজন সমাজসেবক ও ক্রীড়া সংগঠক। তিনি কখনোই কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন না। একটি কুচক্রী মহলের যড়যন্ত্রে তিনি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আগামী ৩ দিনের মধ্যে ফরিদ আহমদকে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় ৭নং ওয়ার্ডবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

মোগলীটুলা পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও মোগলীটুলা নতুন জামে মসজিদ কমিটির মোতাওয়াল্লী কাজী মইনুল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সামাজিক সংগঠন আইডিয়াল ইয়ূথস’র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বাচ্চু’র পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- মোগলীটুলা পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মানিক আহমদ, আব্বাসী জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী কাজী নুরুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কবির আহমদ, লাল সবুজ সমাজ কল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক ডা. তানভীর আহমদ, বিশিষ্ট সমাজকর্মী সুজন আহমদ, সিটি কর্পোরেশনের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সায়ীদ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, বিশিষ্ট ক্রীড়ানুরাগী দেলওয়ার আহমদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজ উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর, ওমর কাঠগর সংস্থা সহ-সভাপতি ছমির আহমদ, সমাজসেবক লায়েক আহমদ, নিসচা’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিশু, আইডিয়াল ইয়ূথস’র সহ-সভাপতি মুমিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মাহবুব মুর্শেদ, সমাজসেবক খোকন আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আতিক খান, মোগলীটুলা নতুন জামে মসজিদ কমিটির সদস্য জুবের আহমদ, সমাজসেবক জহির হোসেন, আইডিয়াল ইয়ূথস’র কার্যকরী কমিটির সদস্য কাউসার খান, কার্যকরী কমিটির সদস্য ইমাদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনি আহমদ ও হাজীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সদস্য জুয়েল আহমদ প্রমুখ।