গাইবান্ধা সংবাদদাতা : নারীদের প্রসবজনিত ফিস্টুলা রোগ বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আয়োজনে ও ল্যাম্ব এর সহযোগিতায় জেলা পৌর শহরের দেশিভোজ রেস্টুরেন্টের হলরুমে এ ফিস্টুলা বা ভগন্দর রোগ বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, ল্যাম্ব এর ডিষ্ট্রিক ফেসিলেটিটর শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট গাইনি এন্ড অবসের ডাক্তার তাহেরা আক্তার মনি। আরো উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা কাচারি বাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি অমিতাভ দাস হিমুন, সহ- সভাপতি জোবায়ের আলী, খালেদ হোসেন , সাধারন সম্পাদক, ইদ্রিসউজ্জামান মোনা, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কুদ্দুস আলম, জাবেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রজত কান্তি বর্মন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম মিলন, দৈনিক একাত্তর বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী মুসা, যায় যায় দিন এর জেলা প্রতিনিধি শফিউল ইসলাম, নাগরিক ভাবনার জেলা প্রতিনিধি রিয়ন ইসলাম রকি, দৈনিক ভোরের সময় এর জেলা প্রতিনিধি লাল চান বিশ্বাস সুমন সহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, মলদ্বারের পার্শ্বস্থিত কোনো স্থানে এক বা একাধিক মুখ দিয়ে মাঝে মধ্যে পুঁজ বের হয়ে আসাকে ফিস্টুলা বা ভগন্দর বলা হয়। মলদ্বারের ক্যান্সার এবং বৃহদন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগেও ফিস্টুলা হয়ে থাকে। মলদ্বারে যক্ষ্মার কারণেও ফিস্টুলা হতে পারে।

বক্তারা আরও জানান, ২০১২ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ল্যাম্ব হাসপাতাল জেলার ৭ উপজেলার ১৭২ জন নারী কে প্রসবজনিত ফিস্টুলা রোগীর অপারেশন করেছে। এই রোগে আক্রান্তদের বিনাপয়সায় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

সভায় জানানো হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে নারীদের প্রসবজনিত ফিস্টুলা বা ভগন্দর রোগের হার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে চায় সরকার।