কুমিল্লার মুরাদনগর উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আসিফ মাহমুদের সমর্থকসহ ২০ পুলিশ ও সাংবাদিক আহত হয়েছে।

বুধবার বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে এ হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে।

বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে এনসিপির নেতৃবৃন্দ ও আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ নিয়ে সমাবেশে জমায়েত হন। এ সময় সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে বেশ কয়েকটি ইট, পাটকেল ছোঁড়া হয়। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এনসিপির ১০ থেকে ১২ জন সমর্থক আহত হন এর মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছে।

আহত ইউপি সদস্য শেখর জানান, আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আল্লাহ চত্বরে এসে সমাবেশ শুরু করার পরপরই সমাবেশ লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইট পাটকেল। এ সময় আমাকে ব্যাপক মারধর করে মাথা ফাঠিয়ে দেন এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ আঘাত করেন।

মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহবায়ক মিনাজুল হক জানান, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে মিছিল নিয়ে আসার পর করে শত শত ইট পাটকেল ছুড়ে আমাদেরকে ধাওয়া দিতে থাকে এ সময় প্রায় অর্ধ শতাধিক সমর্থক আহত হয়।

কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান বলেন, আজকে মুরাদ নগরের সদরে এনসিপির সমর্থনের একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল এ সময় পাশে অবস্থানকৃত কিছু লোক বিনে উস্কানিতে ঈদ পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন এরপরে বিপক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে। তবে এনসিপির সমর্থকদের অর্ধ শতাধিক আহতের বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। এছাড়াও কারা এ হামলার সাথে ইন্ধনদাতা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, আমাদের ছেলেরা হামলা করেনি বরং তাদের হামলা প্রতিরোধ করেছে।