মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের মহাসচিব ও স্টেশন রোড জামে মসজিদের খতিব আল্লামা মামুনুর রশীদ নূরী বলেছেন, এদেশে কুরআনের অধ্যায়ন ও কুরআনের চর্চা খুবই সীমিত। অতচ ব্যাপক কুরআন চর্চা ছাড়া কুরআনের শাসনের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা সহজসাধ্য নয়। কুরআনের চর্চাকে ব্যাপকতর করে কুরআনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শহীদ আল্লামা দোলোয়ার হোসাইন সাঈদীর (রাহ:) অবদান আজ আমাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে হয়। তিনি ইসলামকে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সকল স্তরে বাস্তবায়নকে তাঁর জীবনের লক্ষ্যস্থির করেছিলেন এবং তিনিই বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মাওলানা মামুনুর রশীদ নূরী গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বোয়ালখালী পোপাদিয়া ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বিশ^বরণ্য মুফাস্সির আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী (রহ:) এর ২য় শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ইছারে ছাওয়াব মাহফিলে প্রধান মোফাস্সিরের বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। বায়তুল শরফ আনজুমানে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ বোয়ালখালী উপজেলার সভাপতি মাওলানা কাজী মাওলানা সৈয়দ এ এম এম শামছুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান মুফাস্সির আরো বলেন,বাংলাদেশে আজ ইসলামী আন্দোলন যে পর্যায়ে এসেছে। তার অন্তরালে যাদের অবদান ইতিহাসের পাতায় স্মর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে শহীদ আল্লামা সাঈদী তাদের অন্যতম। তিনি শুধু একজন তাফসীর কারক ছিলেন না তিনি একজন খ্যাতিমান আলেমেদ্বীন ও আধ্যাত্মিক সাধকও ছিলেন। তাঁর শাহাদাত একদিকে এদেশের মজলুম মানুষের হৃদয়ে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটেছে। অন্যদিকে জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসা ভয়ঙ্কর ফ্যাসিস্টদের পলায়নকে ত্বরান্বিত করেছে। মাওলানা নূরী আরো বলেন, আল্লামা সাঈদীর (রহ:) তাফসীরের মূল বিষয়বস্তু ছিল ইকামতে দ্বীন ও শাহাদাতের যয্বা। কুরআন হাদিস ও ইতিহাস নির্ভর তার তাফসীর কালে লাখো শ্রোতাদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যেত। বাংলাদেশ ওলামা জগতে তিনিই একমাত্র দেশ ও সমাজকে জাহিলিয়াতের ঘোরঅমানিশা থেকে মুক্ত করণে কুরআনের শিক্ষার আলোর বিস্তারে এবং জনকল্যাণমূখী একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার নিষ্ঠাপূর্ণ অবদান প্রোজ্জল আলোক রশ্মির মত ভাস্বর হয়ে থাকবে। ইছালে ছাওয়াব মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বোয়ালখালী-চাঁন্দগাও আসনের জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা: মুহাম্মদ আবু নাছের। আলোচনা পেশ করেন মাওলানা ইদ্রিস হোসাইন ও মাওলানা কফিল উদ্দিন জিহাদী ও হাফেজ মনজুর প্রমুখ।

প্রধান অথিতি ডা: আবু নাছের, বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর ও কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জামায়াতের ইসলামী সকল প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।