টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় কৃত্রিম প্রজনন (এআই) টেকনিশিয়ানদের অনুমোদনহীন পশুচিকিৎসা এখন নৈরাজ্যের পর্যায়ে পৌঁছেছে। আইন অনুযায়ী তাদের কাজ কেবল কৃত্রিম প্রজননে সীমাবদ্ধ—কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই নিজেদের ‘ডাক্তার’ পরিচয়ে ইনজেকশন প্রয়োগ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খামারিদের অজ্ঞতা ও সরকারি দপ্তরের ধীরগতির সুযোগে অনেক এআই টেকনিশিয়ান ১৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ভিজিট ফি নিচ্ছেন। ভুল চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অসংখ্য কৃষক।
অভিযোগ পাওয়া এআই টেকনিশিয়ানদের মধ্যে রয়েছেন-সোহেল রানা (বেতকা), কাউসার শেখ (সোনারং-টঙ্গীবাড়ী), সঞ্জিত ম-ল (আড়িয়ল), ইয়াছিন শেখ (আউটশাহী), জাকির শেখ (আব্দুল্লাপুর), সাব্বির হোসেন (ধীপুর), মিলন দত্ত (কাঠাদিয়া-শিমুলিয়া), মোফাজ্জল হোসেন (যশলং), ফরহাদ হোসেন (কামারখাড়া), রনি দাস (দিঘীরপাড়), সজিব সরকার (পাঁচগাঁও), ফরিদ হাসান চৌধুরী (বালিগাঁও) ও তারেক দেওয়ান (হাসাইল-বানারী)।
বেশনালে মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে। দপ্তরের ভেতরেই চিকিৎসাসেবা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এএফএআই মো. জিহাদ হোসেন লিখনের বিরুদ্ধে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, “এআই টেকনিশিয়ানদের চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”
ভেটেরিনারি সার্জন ডা. কালিশংকর পাল জানান, “চিকিৎসা তাদের ক্ষমতার বাইরে, অভিযোগ মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে। ”
খামারিদের অভিযোগ—সরকারি ব্যবস্থায় দ্রুত সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়েই তারা এআই টেকনিশিয়ানদের ডাকেন, আর তাতেই বাড়ছে ক্ষতি ও হয়রানি।
সচেতন মহলের দাবি—টঙ্গীবাড়ীতে অনিয়ন্ত্রিত পশু চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধে কঠোর নজরদারি ও আইনের বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।