বেপজা কার্যালয় ঘেরাও করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রামের রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) ‘থিয়ানিস অ্যাপারেলস লিমিটেড’ নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বেপজা কার্যালয়ের সামনে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ চলে বিকেল পর্যন্ত।
সকাল ১০টার দিকে কয়েকশ শ্রমিক প্রথমে কারখানার সামনে জড়ো হন। পরে তারা মূল সড়কে নেমে সিইপিজেড এলাকা থেকে বিমানবন্দরগামী উভয় দিকের সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয় এবং বন্দর এলাকায় প্রবেশ ও প্রস্থান কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
সিএমপি, শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিকেল ৪টার দিকে শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে আবার সিইপিজেড এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে শ্রমিকরা বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) কার্যালয়ের প্রধান ফটক অবরুদ্ধ করে অবস্থান নেন এবং বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন।
শ্রমিকরা জানান, গত ৩০ জুন বেপজা কর্তৃপক্ষ হঠাৎ কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে। সে সময় জানানো হয়, মে ও জুন মাসের বেতন ২ জুলাই দেওয়া হবে। কিন্তু নির্ধারিত তারিখে শ্রমিকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো সাড়া মেলেনি। পরে ৭ জুলাই আসতে বলা হলেও, সেই দিনও কর্তৃপক্ষের কেউ তাদের সঙ্গে কথা বলেননি।
থিয়ানিস অ্যাপারেলসের স্যাম্পল মেকার মো. জাহিদ বলেন, “বেতন চাইতেই এখন রাস্তায় নামতে হচ্ছে। বসে ছিলাম, বিক্ষোভ করেছিÍকিন্তু কেউ আসেনি। শেষে বাধ্য হয়ে সড়ক অবরোধ করি।”
শিল্প পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, “কারখানাটির মালিকপক্ষের কাছে বেপজার পাওনা রয়েছে প্রায় ২৮ কোটি টাকা। ফলে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
ইপিজেড থানার ওসি মো. আকতারুজ্জামান জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে বেপজা কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও চলতি বছরের ৮ মে তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে একই কারখানার শ্রমিকরা সিইপিজেড প্রধান ফটক অবরোধ করেছিলেন। তখন বেপজা হস্তক্ষেপ করে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বেতন পরিশোধ করলেও পরবর্তী দুই মাসের বেতন পরিশোধ করেনি মালিকপক্ষ।