মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তিমূলক পোষ্ট দেয়ার প্রতিবাদে দিনাজপুরের তৌহিদী জনতা ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের মোহনপুর ব্রীজ এলাকায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। ৬ এপ্রিল রোববার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। অবরূদ্ধ সড়কেই বিক্ষোভ সমাবেশ করে তৌহিদী জনতা।
সমাবেশে বক্তারা অভিযুক্ত সবুজ দাসকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে জোর দাবি জানান। তৌহিদী জনতার পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, প্রবীণ আলেমে দ্বীন মাওলানা মতিউর রহমান কাসেমী, মাওলানা খাদেমুল ইসলাম, মাওলানা আল আমিন প্রমুখ। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত এবং কটূক্তিমূলক পোষ্ট শেয়ারকারী স্কুল শিক্ষক উপেন্দ্রনাথ রায়কে গতকাল দুপুরেই বনতাডা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আনোয়ার হোসেন তৌহিদী জনতার উদ্দেশ্যে জানান, ঘটনার সাথে জড়িত উপেন্দ্রনাথ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী অভিযুক্তদেরও দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে। প্রশাসনের এই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বিকাল সাড়ে ৩টায় অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয় জনতা। তবে তারা মূল অভিযুক্ত সবুজ দাসকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে প্রশাসনের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে অবরোধের ফলে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে শত শত বাস, মিনিবাস, মাইক্রো, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। অবরোধ চলাকালে অবরোধকারীরা সড়কেই জায়নামায বিছিয়ে যোহরের নামায আদায় করেন। ঘটনাস্থলের শৃংখলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ওসি মতিউর রহমানসহ পুলিশের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর শহর জামায়াতের আমীর সিরাজুস সালেহীন, জামায়াত নেতা এ্যাড. মাইনুল আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, ৩ এপ্রিল দিনাজপুর সদর উপজেলার বনতাডা গ্রামের জনৈক সবুজ দাস নামে এক হিন্দু যুবক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তিমূলক একটি পোষ্ট করে। এই পোষ্টটি কয়েকজন শেয়ারও করে বলে জানা যায়। এর প্রতিবাদে পরের দিন ৪ এপ্রিল’২৫ একই স্থানে সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ সমাবেশ করে স্থানীয় তৌহিদী জনতা। অভিযুক্ত সবুজ দাসকে গ্রেফতারে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সেদিন অবরোধ তুলে নেয়া হয়। সেই সাথে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে আবার বিক্ষোভের ডাক দেয় তৌহিদী জনতা। তারই প্রেক্ষিতে ৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।