চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিনা নোটিশে প্রায় ৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ব্যাংক কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে তারা শহরের বিভিন্ন ব্যাংক অবরোধ করে ব্যাংকের মূল ফটকে ব্যানার ও তালা ঝুলিয়ে দেন, ফলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
বিক্ষোভে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক, পূর্বালীসহ প্রায় ২০টি ব্যাংকের শাখা ও উপ-শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চাকরিচ্যুত ব্যাংক ফোরামের উদ্যোগে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশের পর তারা সড়কে কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
তালা দেওয়ার পর পটিয়া থানা মোড়স্থ ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখা খুলতে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, পটিয়া সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম ও পটিয়া থানার ওসি মো. নুরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করেন।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, গত বছরের আগস্টে সরকারের পরিবর্তনের পর বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে বিনা নোটিশে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ কর্মী পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তারা দ্রুত পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান এবং কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
এস আলম গ্রুপের অধীনে একাধিক ব্যাংক রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এস আলম গ্রুপের ব্যাংকগুলোতে প্রায় ৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান বলেন, 'তাদের দাবীর বিষয়ে আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা আন্দোলনের বিষয়টি সরকারের উচ্চ মহলে জানিয়েছি। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে আন্দোলনকারীরা হামলা-ভাঙচুর ও নাশকতা না করে।'