এই প্রথমবারের মত খুলনার নির্বাচনী রাজনীতিতে অংশ নিতে মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য প্রাথমিক ধাপ পার হয়েছে। ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিচিতি পেতে এ সংগঠন জেলায় ৬ জন প্রার্থী তালিকা করেছে। ২০২৪ সালে নির্বাচন বর্জন ও জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ক্ষুদ্র শক্তি নিয়ে অংশ নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পেয়েছে। ক্ষুদ্র শক্তি সঞ্চয় করে গেল বছরের ৭ ডিসেম্বর খুলনা জেলা ও মহানগর শাখার প্রকাশ্যে সম্মেলন করে পরিচিতি পায়।
দলীয় প্রধানের ছাত্র রাজনীতির ইমেজের সূত্র ধরে ২০১৮ সালে স্থানীয়ভাবে ক্ষুদ্র পরিসরে এ সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। শুরুতেই নগর শাখার আহবায়ক কমিটি দলের প্রতিনিধিত্ব করে। দলীয় প্রধানের ছাত্র জীবনের অনুসারীরা এখানে আসেন। স্বৈরশাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ক্ষুদ্র পরিসরে স্বোচ্চার ছিল। দিবস পালন, বিভিন্ন কর্মসূচি গণমাধ্যমে প্রচারিক হওয়ায় দলটি পরিচিতি পায়। গেল বছরের ৭ ডিসেম্বর জেলা ও নগর শাখার সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পরিধি বেড়ে যায়। মূল দলের পাশাপাশি নাগরিক নারী ঐক্যের সাংগঠনিক গতি কিছুটা বেড়েছে। দলের লক্ষ্য মানবিক গণতন্ত্র ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি জনগণের কাছে প্রচার করতে এ সংগঠন খুলনার ৬টি আসনে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা দিয়েছে। প্রচার পেতে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দলের আহ্বান শিরোনামে একটি লিফলেট প্রকাশ করেছে।
প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী দলের প্রার্থীরা হচ্ছেন খুলনা-১ আসন জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ হাওলাদার, খুলনা-২ আসনে মহানগর শাখার সভাপতি এডভোকেট ড. মো. জাকির হোসেন, খুলনা-৩ আসন নগর নাগরিক নারী ঐক্যের আহবায়ক এডভোকেট সাকিনা ইয়াসমিন, খুলনা-৪ আসনে নগর শাখার সহ-সভাপতি, ফুটবল প্রশিক্ষক মো. মোস্তাকুজ্জামান, খুলনা-৫ আসন জেলা শাখার সদস্য মনি মোহন বিশ্বাস ও খুলনা-৬ আসন কয়রা উপজেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মো. সরদার আবু জাফর। সংগঠন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক শেখ জামিরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, প্রচার পেতেই মূলত এ উদ্যোগ। তালিকা ঘোষণার মধ্য দিয়ে জেলার ৯ উপজেলায় সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে পরিচিত পাবে বলে তিনি আশাবাদী। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে প্রার্থীরা যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। আগামীতে দুঃশাসন রুখতে গণতন্ত্রমনা দলগুলোর সাথে বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠাই লক্ষ্য।