উদ্বোধনের আগেই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতুটি হুমকির মুখে পড়ছে। সেতুর মাত্র ৪/৫শ মিটার পূর্বে চর হরিপুর এলাকায় নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার ফলে হুমকির সৃষ্টি হয়েছে। হরিপুর গ্রামের ইসমাইল পাগলা ওরফে নুর ইসলামের ছেলে গ্রাম পুলিশ মোজাহারের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর, সাইদুল, রেজাউল, ফারুক, ফুল মিয়া দীর্ঘদিন যাবত বালু তুলে জমজমাট ব্যবসা করছেন। চর এলাকা ও মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তাদের জমজমাট বালুর ব্যবসায় কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তদুপরি তাদের অবৈধ বালু উত্তোলন ও ব্যবসায় সহযোগিতা করে থাকেন হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম। ‎ইতিপূর্বে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ ড্রেজার উচ্ছেদ করতে গিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের তোপের মুখে ফিরে আসতে বাধ্য হন। গত ৫ জুলাই চিলমারীর নৌ পুলিশ ড্রেজার বন্ধ করতে গিয়ে একজনকে আটক করে। কিন্তু সংঘবদ্ধ বালু উত্তোলনকারী ও তাদের মাস্তান বাহিনী নৌ পুলিশের ওপর হামলা করে আসামীকে ছিনিয়ে নেয়। এ সংক্রান্ত নিয়মিত মামলা হয়। আসামীরা জামিনে বেরিয়ে পুনরায় ড্রেজার চালু করে বালু উত্তোলন শুরু করে। বালু ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার কলেজ পড়ুয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে কারাবালু উত্তোলন করছে, তা জানি না। কিছুদিন আগে বালু তোলা নিয়ে প্রশাসনের সাথে গোলমালও হয়েছে। এতে কয়েকদিন বন্ধ থাকলেও আবার বালু তোলা হচ্ছে। ‎বালু তোলা নিয়ে হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম বলেন, নদীতে পাবলিকলি কেউ বালু তুলছে না, কেউ বালুর ব্যবসা করছে না। সরকারিভাবে এলজিইডি হয়তো বালু তুলতে পারে। ‎আগামী ২৫ আগস্ট হরিপুর-চিলমারী তিস্তা সেতু উদ্বোধনের কথা রয়েছে। তার আগেই সেতুর অদূরে ড্রেজার মেশিন বালু তোলায় সেতুটির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।