কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ), আব্দুল মজিদ : প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে কাজীপুর উপজেলার কুটির শিল্প বিলুপ্তির পথে। অর্থকরী সম্পদ বাঁশ ও বেত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিনষ্ট হওয়ায় উপজেলার ৪০টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। কারণ বাঁশ ও বেতের অভাবে গ্রামীণ কুটির শিল্প-কারখানাগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাঁশ ও বেতের কদর এখনো গ্রামীণ কুটির শিল্পে অনেক রয়েছে। এসব কুটির শিল্প বাঁশ ও বেত দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও আসবাবপত্র চেয়ার, সোফা, দোলনা, ডালা, কুলা, ঝাটা, চাকঢালা, ঝুড়িকাটা, ধামা, সদর, সের, দাঁড়িপাল্লা, চালন, খালই, সরপোষ, মুরগীর খাচা, তালাই ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করা হয়।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ছোট ছোট কুটির শিল্পের কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় পেশাদার শ্রমিকরা কাজ করে থাকে। এরা উপার্জনের টাকা দিয়ে সংসার চালায়। প্রয়োজনীয় উপকরণ ও দ্রব্যমূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। কারণ ১টি বাঁশের মূল্য প্রায় ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা। এদিকে বাঁশ ও বেতসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বাড়লেও কুটির শিল্পের উৎপাদিত মালামালের তেমন দাম বাড়েনি এবং সরকারিভাবে সুষ্ঠু বাজারজাতকরণের তেমন কোনো ব্যবস্থাও করা হয়নি। উপজেলার ১২টি ইউপি ও ১টি পৌরসভার প্রায় ৫ হাজার পেশাজীবী (বাঁশ ও বেত শিল্পী) বাস করে। সরকার এসব কুটির শিল্পে প্রয়োজনীয় ঋণের টাকা সরবরাহ এবং সুষ্ঠু বাজার সৃষ্টি করলে কারখানা মালিকরা তাদের সাবেক বাজার ফিরে পাবে এবং এসব দ্রব্যসামগ্রী বিদেশে রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে এসব কারখানার গ্রামের বেকার লোকজন কাজের সংস্থান করতে পারবে।