কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার প্রবীণ আলেম খাজানগর বড় মসজিদের খতিব বড় আইলচারা জামিয়া ইসলামিয়া বালক বালিকা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক মোহতামীম, পোড়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ধর্মীয় শিক্ষক বিশিষ্ট আলেম মুফতি মিঞা হোসেন ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে ঘুমের মধ্যে নিজ বাড়িতে ইন্তিকাল করেন। তার নামাজে জানাজা বাদ আছর খাজানগর দাখিল মাদরাসার পাশে একটি মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার ইমামতি করেন জামায়াতের কুষ্টিয়া জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম।
জানাযা পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কুষ্টিয়া সদর আসনের মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমীর হামজা, বড় আইলচারা জামিয়া ইসলামিয়া বালক বালিকা মাদরাসার মোহতামীম মুফতি আব্দুল হামিদ, কুষ্টিয়া উলামা বিভাগের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জুলফিকার আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মরহুম মুফতি মিঞা হোসেনের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেনে জামায়াতের কুষ্টিয়া যশোর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যক্ষ খন্দকার একে এম আলী মুহসীন, কেন্দ্রিয় শূরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সভাপতি আজমল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মরহুম মুফতি মিঞা হোসেন ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান আশিকুল ইসলাম চপলের শ্বশুর।
মরহুম মিঞা হুসাইন আশির দশকের দিকে কুষ্টিয়ায় আসেন। বড় আইলচারা জামিয়া ইসলামিয়া কারগরী মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোডিং স্থাপন করেন। সেখানে মোহতামীম হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। পরে খাজানগর বড় মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসাবে দায়িত্ব নেন। এ যাবৎ পযর্ন্ত ওই মসজিদের দায়িত্বই পালন করে আসছিলেন। সেই সাথে পোড়াদহ হাইস্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক হিসাবে চাকুরী নেন। সেখান থেকে অবসরে যান। ইসলামী সংগঠনের জন্য তিনি নিবেদিত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ী ময়মনসিংহে। তিনি চাকুরীর সুবাদে খাজানগরে জায়গা জমি কিনে বাড়িঘর করে স্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে বসবাস করছিলেন।