সাতক্ষীরা সংবাদদাতা: সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিকের নেতৃতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এতে জরুরি বিভাগের চেয়ার, টেবিল, গ্লাসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভেঙে গেছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলার সময় হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনার পর জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা। এ ঘটনায় পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি বৈঠকে বসেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনা জানার পর স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার সকালে শাহিনুর নামের এক রোগী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে ইনডোরে ভর্তি হন। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে না পেয়ে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে তারা ফের জরুরি বিভাগে ফিরে এসে কর্তব্যরত স্টাফদের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়ান। একপর্যায়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে স্টাফদের ওপর হামলা চালিয়ে জরুরি বিভাগ ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসককেও মারপিট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফয়সাল আহমেদ বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে জরুরি বিভাগে হামলা চালানো হয়েছে। এতে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে সেবা দেওয়ার মতো পরিবেশ নেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সোহেল আহমেদ মানিক বলেন, আমি রুগির সাথে ছিলাম কারা ভাঙচুর করেছে আমি জানিনা। ভাঙচুরের সময় আমি সেখানে ছিলাম না।