হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সংলগ্ন জোবরা গ্রাম পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হাটহাজারী উপজেলা আমীর ও চট্টগ্রাম -৫ হাটহাজারী ও বায়েজিদ ( আংশিক)আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ইন্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলামসহ উপজেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে দীর্ঘদিন ধরে জোবরা গ্রামবাসী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সুহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল।

কিন্তু সম্প্রতি একটি অনাকাংখি ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মতে তৃতীয় একটি পক্ষ গ্রামবাসী সেজে (হেমলেট বাহিনী) জোবরা গ্রামকে অশান্ত করে এ নেক্কারজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গ্রামবাসী আহত হয় এবং ক্ষতিসাধন হয় অনেকের ঘর বাড়ি দোকানপাট ও সম্পদের।

২ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে জামায়াতের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করা হয়। এ সময় নেতৃবৃন্দ স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে মতবিনিময় করেন, সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং গ্রামবাসিদের সাথে আলোচনা করে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির একটি তালিকা তৈরি করেন।

জামায়াত নেতৃবৃন্দ সরেজমিনে পরিদর্শনের সময় স্থানীয়রা জানান, দেশীয় অস্ত্র দা,রামদা, কিরিচ নিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাকুপি যারা করেছে তারা কেউ স্থানীয় নয়, তারা হেমলেট পরা ছিল,তাদেরকে আমরা চিনি না।

এ সময় হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতের আমীর ইন্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম বলেন,”একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সংঘর্ষের ঘটনায় আমি ও আমার সংগঠন উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত। ভবিষ্যতে কারো উস্কানীতে এ ধরনের ঘটনা যে আর যেন না ঘটে সবাইকে এ ব্যাপারে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা আপনাদের পাশে আছি, সব সমস্যার সমাধানে যথাসাধ্য ভূমিকা রাখব। স্থানীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ থাকবে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যেন ক্ষতিপূরণ পায়, আহতরা যেন সুচিকিৎসা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্দোষ কোন ব্যক্তি যেন হয়রানীর শিকার না হয়। “

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সমাজকল্যাণ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. ইসহাক, ফতেপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি প্রফেসর আব্দুল মান্নান তালিব, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সহ সভাপতি সাংবাদিক একরামুল হক, ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ।