পবিত্র ঈদুল ফিতরের বেশ দেরি থাকলেও বসে নেই পোশাক তৈরির কারিগররা। রাজশাহীতে ঈদের পোশাক তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জিরা। নগরীর অলিগলিতে এখন শুধু সেলাই মেশিনের শব্দ।
দর্জির দোকানগুলোতে এখন যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। ঈদের নতুন পোশাক পোশাক তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর দর্জিরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কাপড় কাটার কাজ, সেলাই ও কারুকাজ। একইসঙ্গে থান কাপড়ের বাজারেও ভিড় বাড়ছে, যদিও ক্রেতাদের অভিযোগ, কাপড় ও সেলাই খরচ দুটোই বেড়েছে। শবে বরাতের পর থেকেই দর্জিরা পুরোপুরি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে ২০ থেকে ২২ রমজানের মধ্যে অধিকাংশ দোকান অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেবে বলে জানিয়েছেন মালিকরা। এখন কাজের চাপ অনেক বেশি। দর্জিরা দিনে ১৫-১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করছেন। রাজশাহীর কাপড় পট্টি ও সাহেব বাজারের দর্জিরা জানান, এখানকার দর্জিশিল্পের আলাদা আলাদা খ্যাতি রয়েছে। পাশের জেলা নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া থেকেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখানে পোশাক তৈরি করাতে আসেন। কাপড় কাটার টেবিল, সেলাই মেশিনের খটখট শব্দ, আর সূচ-সুতার কাজে ব্যস্ত কারিগরদের দেখে বোঝাই যায়, ঈদ সামনে রেখে এখানকার দর্জিরা দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। পাঞ্জাবি, কুর্তা, শাড়ি, লেহেঙ্গা, গাউন সব ধরনের পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত তাঁরা। এক্সপ্রেস সার্ভিসের জন্য অনেকে বাড়তি টাকা দিয়ে দ্রুত পোশাক বানিয়ে নিচ্ছেন। মামুন নামে এক দর্জি বলেন, “ঈদের আগে ঘুমানোরও সময় নেই। সবাই চায় তাদের পোশাক সময়মতো হাতে পেতে, তাই দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। চাঁদ রাত পর্যন্ত তাঁদের ব্যস্ততা থাকবে। এরপরই কিছুটা স্বস্তি মিলবে, তবে তাদের পরিশ্রমের ফল হাজারো মানুষের ঈদের আনন্দে ফুটে উঠবে।” দর্জি দোকানের মালিক মো. আমীর বলেন, “বাচ্চাদের ও বড়দের সব ধরনের পোশাক তৈরি করছি। ঈদের মৌসুম ভালোই যাচ্ছে। গতবারের তুলনায় এবার কাজের চাপ বেশি। শবে বরাতের পর থেকেই দোকানে অর্ডারের লাইন লেগে গেছে। মাসুম ক্লথ স্টোরের কাপড় বিক্রেতা রাজু আহমেদ জানান, গতবারের তুলনায় এবার নতুন ডিজাইনের কাপড় বেশি এসেছে। তবে ডলারের দাম বেশি হওয়ায় কাপড়ের দাম ২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।