রাজশাহীর পদ্মা নদীতে একাধিক কুমিরের দেখা মিলেছে। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক একটি কুমিরের ছবি তুলেছেন একজন আলোকচিত্রী। ছোট কুমির দেখেছেন স্থানীয় জেলেরা। এ অবস্থায় নদীতে গোসল না করতে এলাকাবাসীকে মাইকিং ও লিফলেটের মাধ্যমে সতর্ক করছে রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পদ্মার ষাটবিঘা চরে পাখির ছবি তুলতে গিয়ে কায়েস দম্পতি কুমিরটির দেখা পান। ড্রোনে ধারণ করা ভিডিও ও ছবিতে স্পষ্টভাবে দেখা যায় কুমিরটি পানির ধারে রোদ পোহাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ছবিতে দেখা প্রাণীটি মিঠাপানির কুমির, যা বাংলাদেশে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে মিঠাপানির কুমির বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে পাবনা ও আরো দুটি স্থানে কুমির দেখা যায়, যেগুলো এখন সুন্দরবনের করমজল প্রজননকেন্দ্রে সংরক্ষিত। ধারণা করা হচ্ছে রাজশাহীর কুমিরটি ভারতের চাম্বুল নদ এলাকা থেকে এসেছে। রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের একজন পরিদর্শক বলেন, স্থানীয় জেলেরা ছোট কুমিরও দেখেছেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, পদ্মায় একাধিক কুমির রয়েছে। এগুলো জলজ প্রাণী, জলেই থাকুক। তাদের বিরক্ত করা যাবে না।” বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের লিফলেটে বলা হয়েছে, কুমির হিংস্র হলেও তারা জলজ বাস্তুতন্ত্রে ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই কুমির দেখলে বিরক্ত না করা, নদীতে গোসল না করা, শিশুদের নদীর ধারে না পাঠানো, ছোট নৌকা চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা এবং রোদ পোহানো কুমিরের দিকে ঢিল না ছোড়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। লিফলেটে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী কুমিরকে বিরক্ত করা, ধরা, হত্যা করা বা বিক্রি করা দ-নীয় অপরাধ। সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদ- বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দ-ের বিধান রয়েছে।