খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ঘের মালিকেরা চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। চিংড়ির ঘেরে বিষ প্রয়োগ ও লুটসহ নানা কারণে তারা আগ্রহ হারাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ রকম চলতে থাকলে এ উপজেলার চিংড়ি খাত অচিরেই বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন চিংড়ি চাষিরা।
জানা গেছে, চিংড়িতে অধিক মুনাফা অর্জিত হওয়া এক সময় এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে দিন মজুর থেকে শুরু করে ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিরা ঘের কেটে চিংড়ি চাষ শুরু করেন। যাদের জমি নেই তারা অন্যের জমি ইজারা নিয়ে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে পুঁজি বিনিয়োগ করতে থাকেন। সাবলম্বী হতে শুরু করেন দিনমজুর পরিবারের সদস্যরা। তবে বর্তমানে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিদের দ্বারা ঘেরে বিষ দেওয়া ও চিংড়ি চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় চিংড়ি চাষিরা এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছেন। উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, তেরখাদায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে ৭ হাজারের মত চিংড়ি ঘের ছিল। কিন্তু বর্তমানে সাড়ে ৪ হাজার চিংড়ি ঘেরে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। আড়াই হাজার ঘেরে চিংড়ি মাছের পরিবর্তে সাদা মাছ চাষ হচ্ছে। এছাড়া অনেক ঘের পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে।
আরো জানা গেছে, বর্ষা মওসুমে এ এলাকায় চিংড়ি ও সাদা মাছ চাষের পাশাপাশি ইরি ও বোর ধানের চাষ করা হয়। উৎপাদিত মাছ ও ধান থেকে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করে অর্থোপার্জন করেন কৃষকরা। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই। ২০২১ সালের বন্যায় উপজেলার অনেক ঘের পানিতে ভেষে যায়। এতে ঘের মালিকদের প্রচুর পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়।