রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পলাতক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পৈত্রিক ভিটায় অবস্থিত একটি কোচিং সেন্টার থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। সেনা ও পুলিশের এই যৌথ অভিযানের সময় লিটনের চাচাতো ভাই অনিন্দ্যসহ ৩ জনকে আটক করা হয়।

রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় ‘ডক্টর ইংলিশ’ কোচিং ও তার আশেপাশের স্থাপনায় শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪০ ইস্ট বেঙ্গল মেকানাইজড টিম এই অভিযানে নেতৃত্ব দেয়। এসময় রাজশাহী মহানগর পুলিশ এতে সহযোগিতা করে। রাজশাহী সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযানকালে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি, সামরিক মানের দূরবীন ও স্নাইপার স্কোপ, ছয়টি দেশীয় অস্ত্র, বিদেশি সাতটি ধারালো ডেগার, পাঁচটি উন্নতমানের ওয়াকিটকি সেট, একটি সামরিক মানের জিপিএস, একটি টিজার গান, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কার্টিজ, বিপুলসংখ্যক অব্যবহৃত সিমকার্ড, বোমা বানানোর বিস্ফোরক, দেশি-বিদেশি মদ, ছয়টি কম্পিউটার সেট, নগদ ৭ হাজার ৪৪৫ টাকা এবং ১১টি নাইট্রোজেন কার্টিজ উদ্ধার করা হয়। পরে নাইট্রোজেন কার্টিজগুলো বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট নিস্ক্রিয় করে। অভিযানে সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের চাচাতো ভাই মোন্তাসেরুল আলম অনিন্দ্য এবং তার সহযোগী রবিন ও ফয়সালকে আটক করা হয়। অনিন্দ্য ‘ডক্টর ইংলিশ’ নামের একটি কোচিং সেন্টারের মালিক। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যা এবং ঢাকার হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার আসামি ছিলেন। এই অস্ত্রের উৎস ও এর নেপথ্যের লোকদের বিষয়ে আরো তদন্ত করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানানো হয়। উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের প্রাক্কালে রাজশাহী নগরীতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ব্যাপক অস্ত্রবাজি করা হয়। এসময় দুই ছাত্র নিহত ও অনেকে আহত হন। সেদিন থেকে সাবেক মেয়র ও তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছেন।