গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে জিরানী বাজারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে নেতৃবৃন্দ বলেন, ওসি সাইফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের দোসর। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে তাদের নিরাপদে লালন পালন করছেন। সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকলেও তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। যারা ১৫ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দ্বারা হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদেরকেই গ্রেফতার করাচ্ছেন ওসি। এমনকি থানায় বসে আওয়ামী লীগের লোকজন বৈঠকও করেন। মাঝে মধ্যে আওয়ামী লীগের কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ওসি সাইফুল ইসলামকে কাশিমপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করার জন্য জিএমপি কমিশনারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। মানববন্ধন শেষে মাধবপুর হতে ওয়াপদা রোড পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছাড়াও এলাকার বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কাশিমপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান রাজু, বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান, আমান মণ্ডল, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ : গাজীপুরের শ্রীপুরে তাকওয়া পরিবহনের স্টাফদের হাতে এক অটোরিকশা চালক নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশের গড়িমসির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন অটোরিকশা চালক ও স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল থেকে শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় চার ঘণ্টা পর সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে এবং মামলার আশ্বাসে দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
নিহত অটোরিকশা চালক মো. লিটন মিয়া (৩৫) শ্রীপুর পৌরসভার মাধখলা গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী শরমিন বেগম জানান, তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের স্টাফদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে তার স্বামীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই ঘণ্টা পর কাছাকাছি এক এলাকায় তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। লিটনের ছোট ভাই মো. আজিজুল বলেন, "আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নানা অজুহাতে গড়িমসি করতে থাকে। রাতভর থানায় থেকেও মামলা হয়নি।" শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, "হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ সঠিক নয়। এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা। তবে তাকওয়া পরিবহনের চালক রাজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতে অভিযান চলছে।"