বিশ্বপর্যায়ে গৌরবময় এক অর্জন ছিনিয়ে আনলো গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (গাকৃবি)। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য সম্মান এনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিং সংস্থা ডটজও (DotJO) - র‍্যাঙ্কিং ফর টপ ইনোভেটিভ ইউনিভার্সিটিজ ২০২৫।

প্রকাশিত তালিকায় ‘টেকনোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন ও ‘গ্লোবাল টপ ইনোভেটিভ ইউনিভার্সিটিজ ক্যাটাগরিতে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে গাকৃবি।

বৃহস্পতিবার ( ১০ জুলাই) উরি (URI) থেকে প্রকাশিত এই র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের আন্তর্জাতিক অবদানের ভিত্তিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় গাকৃবির অবস্থান ৭৭তম। আর গ্লোবাল ইনোভেটিভ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গাকৃবি রয়েছে ৩৩১তম স্থানে, যা বাংলাদেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালেও এই র‍্যাঙ্কিংয়ে ‘টেকনোলজি ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে গাকৃবি ছিল দেশের শীর্ষে। চলতি বছরের শুরুতে প্রকাশিত টাইমস হায়ার এডুকেশন-এর ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি সাবজেক্ট র‍্যাঙ্কিং-২০২৫থ-এ লাইফ সায়েন্স ক্যাটাগরিতে গাকৃবি দেশের সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে। এছাড়া টিএইচই এশিয়া র‍্যাঙ্কিং ২০২৫-এ দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গাকৃবি ছিল শীর্ষে।

এর আগে জুন মাসে প্রকাশিত টাইমস হায়ার এডুকেশন ইউনিভার্সিটি ইমপ্যাক্ট র‍্যাঙ্কিং ২০২৫-এও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষস্থান অর্জন করে। পাশাপাশি, সিমাগো র‍্যাঙ্কিং ২০২১ ও ২০২২ এবং কিউএস র‍্যাঙ্কিং ২০২৩-এ গাকৃবির গর্বজনক অবস্থান ছিল প্রশংসনীয়।

এ অনন্য অর্জন প্রসঙ্গে গাকৃবির ভিসি প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,

“ডটজও র‍্যাঙ্কিং ২০২৫-এ গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাফল্য শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠান নয়, পুরো দেশের জন্য এক গৌরবের বিষয়। এটি কৃষিবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের পথচলার প্রতিচ্ছবি। আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি গবেষণা, উদ্ভাবন এবং বাস্তব প্রয়োগযোগ্য জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে। এ সাফল্যর পেছনে রয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের সম্মিলিত শ্রম ও নিষ্ঠা।

তিনি আরও বলেন, “আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সরকার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং আমাদের সকল শুভানুধ্যায়ীকে, যাঁদের সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছে। এ অর্জন আমাদের উদ্ভাবনমুখী ও টেকসই কৃষিশিক্ষার ‘গ্লোবাল মডেলথ গড়ার পথে আরও দৃঢ় প্রত্যয়ী করেছে।