লালমনিরহাট সংবাদদাতা : লালমনিরহাটে কালবৈশাখীর আঘাত। ঝড়-বাতাসের তাণ্ডবে শতাধিক ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করছে জেলা প্রশাসন। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় কালবৈশাখী ঝড়ো-বাতাস শুরু হয়। যা প্রায় ২০/২৫ মিনিট স্থায়ী ছিল। এতে ৮/১০ ঘণ্টা জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের প্রচ- ভ্যাপসা গরমের পর ২০/২৫ মিনিটের বৃষ্টি ও বাতাসে লালমনিরহাটবাসীর কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলাসহ পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড় ও বাতাসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঝড়ে আম, কাঠাল, ভুট্টা, লিচু, মাল্ট্রা ধান-পাটসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাতাসের তীব্র গতিতে ভেঙে পড়ে অনেক ঘরবাড়ি এবং গাছপালা উপড়ে যায়। জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ এর খুঁটি উপড়ে ও গাছপালা পড়ে তার ছেঁড়ে যাওয়ায় ৮/১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, আমার বসতবাড়ির ওপর গাছ ভেঙে পড়ে টিনের ঘরটি ভেঙে গেছে। এছাড়া ও ভুট্টাসহ তার সবজি ক্ষেতের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

একই এলাকার শাজাহান আলী বলেন, আমার কাঁচা টিনের ঘরের খুটি উপড়ে পড়ে ভেঙে পড়েছে। আমার আশপাশের ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক সড়কে গাছ ভেঙে পড়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সরকারী কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা: কালবৈশাখী ঝড়ে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ায় ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুৎ এর খুটি। শনিবার হঠাৎ ঝড়ে এ পরিস্তিতির সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, উপজেলার উপর দিয়ে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ায় ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুৎ এর খুটি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়াও, সদ্য বেড়ে ওঠা ইরি- বোরো ধান, ভুট্টা ক্ষেত, শাকসবজি ও বেগুন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েজেন। ঝড়ে পড়েছে লিচু ও আমের গুটি। অন্যদিকে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ এর খুটি উপড়ে পরে ও তার ছিড়ে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

পাথরডুবি ইউনিয়নের মইদাম গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে আমাদের এখানে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেইসাথে জমিতে পড়ে গেছে ধান। বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকার পুরো এলাকা।

তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বলেন, শনিবার রাতে হঠাৎ ঝড়ে আমার ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাত হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। প্রতিটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব প্রাপ্ত গ্রাম পুলিশদেরকে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটার খোঁজ খবর নিতে বলা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।