মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার শিক্ষার্থী নাফিসা জান্নাত আনজুম এর হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে ছাত্র-জনতার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার গাড়িযোগে কুলাউড়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকা থেকে প্রায় দুই হাজার অধিক ছাত্র-জনতা মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাট থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা দায়রা জজ ও সিজিএম এর কোর্টের সামনে এসে অবস্থান নেন। এসময় তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে মৌলভীবাজার সদর উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ। এসময় আঞ্জুমের চিহ্নিত হত্যাকারী ধর্ষক জুনেলের ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। আঞ্জুমের সহপাঠি ও এলাকাবাসী জানান আঞ্জুমের চিহ্নিত খুনি ও ধর্ষক জুনেলের বিচারের দাবিতে তারা কয়েক দিন থেকে নানা কর্মসূচী নিয়ে রাজপথে নেমেছেন। যতক্ষন পর্যন্ত ফাঁসির রায় কার্জকর না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আর কোনও মেয়ে শিক্ষার্থী যেন এমন পৈশাচিক নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে এভাবে মৃত্যুবরণ করতে না হয়। তারা এবিষয়ে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন। দ্রুত সময়ে আসামী গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকেও তারা ধন্যবাদ জানান। মৌলভীবাজারের অন্যতম সামাজিক সংগঠন বোরহান উদ্দিন (রহ.) ইসলামী সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম মুহিবুর রহমান মুহিব এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশের সঞ্চালনা করেন তরুণ সমাজকর্মী শিক্ষার্থী মো. আবু সামাদ সুজেল। বক্তব্য রাখেন এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট আইনজীবী পিপি এডভোকেট ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক এস এম উমেদ আলী, মু.ইমাদ উদ দীন, কুলাউড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ও তরুণ আনজীবী এপিপি এডভোকেট নিয়ামুল হক, নিহত আনজুমের পিতা আব্দুল খালিক,ভাই আফিফ ইসলাম রাজিন প্রমুখ। উল্লেখ্য গত ১৪ জুন প্রাইভেট পড়া থেকে বাড়ি ফেরার পথে কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়রে শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী নাফিসা জান্নাত আনজুম কে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে শ^াসরোধ করে হত্যা করে জুনেল। এর একদিন পর বাড়ির পাশের কবরস্থান এর পাশ থেকে এলাকাবাসী লাশ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে খুনিকে গ্রেফতার করে। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেন। সবার একটাই দাবি মেধাবী শিক্ষার্থী আঞ্জুমের চিহ্নিত ধর্ষক ও খুনী জুনেলের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক।