২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বর গণহত্যার বিচারের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখা।

সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় নগরীর শিববাড়ি মোড়ে এ মানবপ্রাচীরের আয়োজন করা হয়।

মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মুশাররফ আনসারী, আব্দুল আউয়াল ও জাহিদুর রহমান নাঈম। এতে মহানগরী ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক ইসরাফিল হোসেন, অর্থ সম্পাদক আসিফ বিল্লাহ, সাহিত্য সম্পাদক বেলাল হোসেন, প্রকাশনা সম্পাদক আদনান মল্লিক যুবরাজ, এইচআরডি সম্পাদক সেলিম হোসেন,আইন সম্পাদক আঃ রশিদ, ছাত্রআন্দোলন সম্পাদক ইমরান হোসেন, প্লানিং সম্পাদক নাঈম হোসেন, সোস্যাল মিডিয়া সম্পাদক খায়রুল বাশার, বিএল কলেজ সভাপতি হযরত আলী, সদর দক্ষিণ থানা সভাপতি জুবায়ের আল মাহমুদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমি গভীর দুঃখ, ক্ষোভ ও বেদনাভরা হৃদয়ে আজ শাপলা চত্বরে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যার বিচারের দাবিতে এখানে উপস্থিত হয়েছি।

আজ আমরা একত্রিত হয়েছি এক অন্ধকার অধ্যায়ের প্রতিবাদে, এক নির্মম, পৈশাচিক, এবং মানবতাবিরোধী ঘটনার স্মরণে—২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে শাপলা চত্বরে ঘটে যাওয়া সেই রক্তাক্ত রাত। ওই রাতে ঘুমন্ত, নিরস্ত্র, আল্লাহর রাস্তার দিকে আহ্বান জানানো হাজারো মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

আমরা আজও সেই রাতের হিসেব পাইনি। লাশ কোথায় গেলো? কারা মারা গেলো? কারা নিখোঁজ? কে দায়ী? সরকার সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত তো করেইনি, বরং বহু প্রমাণ লোপাট করেছে। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে, সত্যকে গলা টিপে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত চাই। আমরা চাই শহীদদের জন্য বিচার।

এই হত্যাযজ্ঞ ছিল মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর এক নিষ্ঠুর আঘাত। তা ছিল ধর্মপ্রাণ মানুষের কণ্ঠ রোধের একটি ভয়ংকর উদাহরণ।

আজ আমরা বলছি—রক্তের ঋণ ভুলে যাওয়া যাবে না। সত্য চাপা পড়লেও তা চিরকাল টিকবে না। আমরা এই গণহত্যার বিচার চাই, শহীদদের সম্মান চাই, এবং ভবিষ্যতে যেন আর কোনো রাষ্ট্র এই ধরনের নৃশংসতা করতে সাহস না পায়, সেই নিশ্চয়তা চাই।

সভাপতির বক্তব্যে মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন বলেন, ২০১৩ সালের ৫ই মে রাতের কালো ছায়ায় যে নিষ্ঠুরতা চালানো হয়েছিল, তা মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের চরম অবমাননা। নিরস্ত্র ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপর এমন বর্বরোচিত হামলা আমাদের জাতীয় বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছিল।

আমরা প্রশ্ন করি—কেন? কী অপরাধ ছিল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইদের? তারা তো শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবি তুলে ধরেছিল। কোনো ন্যায্য বিচার ছাড়াই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে রক্তাক্ত অধ্যায় রচিত হলো, তা আজও আমাদের ঘুম কেড়ে নেয়। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে খুব দ্রুত এই

হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি ।#