“মানবতার মুক্তির জন্য ইসলামের বিজয় অনিবার্য”—এই অঙ্গীকারকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার উদ্যোগে সিরাত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তারা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক ইসলামি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এই সিরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

শহর শাখার আমীর মাওলানা আ. ম. ম. আব্দুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মো. রমজান আলী। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমদ।

বিশেষ আলোচক হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাসির উদ্দিন হেলালি এবং হয়বত নগর এ ইউ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আজিজুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মুসাদ্দেক ভূঁইয়া এবং কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা মো. নাজমুল ইসলাম।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমদ বলেন, “মানবতার মুক্তির জন্য ইসলামের বিজয় অনিবার্য। পনেরশত বছর আগে বিশ্বমানবতার দিশারি হযরত মুহাম্মদ (সা.) আগমন করেছিলেন। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে তিনি মদিনায় ১২ লাখ বর্গমাইলের কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছিল।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক রমজান আলী বলেন, “জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের লক্ষ্য হলো রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শে একটি ইসলামি কল্যাণরাষ্ট্র গড়ে তোলা। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এ দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বৈষম্য দূর করার জন্য হয়েছিল, অথচ আজও বৈষম্য বিদ্যমান। আমরা বিশ্বাস করি, মানব রচিত মতবাদ দিয়ে নয়, বরং কোরআন-সুন্নাহর আলোকে কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন সম্ভব।”

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কিশোরগঞ্জ কালচারাল সোসাইটি নাতে রাসূল (সা.) পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।