কয়রা সংবাদদাতাঃ খুলনার কয়রা উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুলীতে নিহত জাহিদুল ইসলামের হত্যার বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের স্ত্রী ছবিরন নেছা ও তার পরিবারের সদস্যরা। নিহত জাহিদুল ইসলাম কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নে মৃত জালাল গাজীর ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে ছবিরন নেছা বলেন,আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম একজন দিনমজুর। শৈশব থেকেই তিনি পিতার সাথে দিন মজুরী করে জীবিকা নির্বাহ করিয়া আসিতেছিল। ঘটনার তারিখ ও সময় অর্থাৎ ২০১৩ সালের ১২ ই ফেব্রুয়ারী সময় অনুমান বিকাল ৫.৩০ ঘটিকার সময় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল কাদের মোল্যার রায়কে কেন্দ্র করিয়া কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জামায়াতে ইসলামীর অফিস চত্বরে শান্তি পূর্ন সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। তৎকালিন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ তমিজউদ্দিন ও উপজেলা জামায়াতের আমীর প্রফেসর সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে সমাবেশ শেষ করিয়া কয়রা উপজেলা জামায়াতের ব্যানারে শান্তিপূর্ণ মিছিলটি জালালের মোড় আসা মাত্রই পূর্ব পরিপকল্পনা অনুযায়ী তৎকালিন আওয়ামীগীগের প্রভাবশালী নেতা সোহরাব আলীর সানার নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা চর্তুমুখী হামলা চালায়। তাদের এলোপাথাড়ি মুহুর্মুহু গুলি বর্ষণ ও হাতবোমা বিস্ফোরণ আমার স্বামী সহ অনেকেই আহত হন। আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম গায়ে, হাত ও পায়ের বিভিন্ন জায়গায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মকভাবে ঝলসে যায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার স্বামী সহ আহত ব্যক্তিদের কোন সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হতে দেয় নি। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে এ্যাম্বুলেন্স যোগে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করলে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গাড়ি আটকিয়ে আবারও হামলা করে। পরবর্তীতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে বিচারের দাবিতে দ্বারে-দ্বারে ঘুরলেও স্বৈরাচার সরকার ও তার দোসরদের ভয়ে কেউই আমাদের সহযোগিতা করতে রাজি হয় নি। আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করলে বিচারের দাবিতে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করি কিন্তু আওয়ামী লীগের তা-বে আমার পিতা ও শশুর বাড়ীর লোকজন ভিটাবাড়ি ছাড়া হয়ে যায়। তাই বর্তমান সরকারের কাছে আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই। স্বৈরাচার সরকার ও তার দোসরদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত জাহিদুল ইসলাম স্ত্রী ছবিরন নেসা ,মাতা মজিদা খাতুন,মেয়ে, ভাই ও বোন উপস্থিত ছিলেন।