দাউদকান্দি (কুমিল্লা) সংবাদদাতা: গোমতী নদীর ওপর নির্মাণাধীন কদমতলী-হাসনাবাদ সেতুটি দীর্ঘ চার বছরেও নির্মাণ শেষ হয়নি। ফলে দাউদকান্দি, তিতাস ও মেঘনা উপজেলার প্রায় ২৮টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।

সেতুটি চালু হলে তিন উপজেলার মধ্যে সরাসরি ও স্বল্প সময়ে যোগাযোগ স্থাপন হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় এখনো মানুষকে নদী পার হতে হচ্ছে নৌকা ও একাধিক যানবাহন বদল করে। এতে শুধু সময় নয়, ব্যয় ও ঝুঁকিও বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগী ও কর্মজীবী মানুষ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে ৫৮ কোটি ৭৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় প্রায় চার বছর আগে। সেতুটি দাউদকান্দি উপজেলার সদর উত্তর ইউনিয়নের কদমতলী এবং তিতাস উপজেলার হাসনাবাদ অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার কথা ছিল।

যেসব এলাকার মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত তাদের মধ্যে দাউদকান্দি উপজেলার ভাজরা, হাসনাবাদ (উত্তর ও চারআনী), শান্তিনগর, বাহেরচর, ভিটিকান্দি, কান্দারগাঁও, বটতলী, গঙ্গাপ্রসাদ। তিতাস উপজেলার দুধঘাটা, দড়িগাঁও, চরকাঁঠালিয়া, কাকিয়াখালী, মোহনপুর, উজিরাকান্দি, সাতানী, চারআনি, নন্দীরচর, মঙ্গলকান্দি, বারকাউনিয়া, কালীরবাজার, ভুঁইয়ারবাজার, নন্দনপুর, বালুয়াকান্দি, জগতপুর, চরকুমারিয়া, চর কাঁঠালিয়া এবং মেঘনা উপজেলার আলীপুর, বিনোদপুর, চরবিনোদপুর, হিজলতলী।

মানুষের রোজকার যাতায়াত এখন যুদ্ধের মতো হয়ে গেছে। এজন্য স্থানীয় বাসিন্দা মো. জামাল হোসেন বলেন, “আমার মেয়ের স্কুল নদীর ওপারে। প্রতিদিন তাকে তিনটা যানবাহন বদল করে, নৌকা পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয়। বর্ষায় নৌকায় চলা খুব বিপজ্জনক। সরকার যদি দ্রুত সেতুটা শেষ করত, আমাদের এই ভোগান্তি থাকত না।”