বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, ইসলাম মানেই শান্তি। যেখানে ইসলাম নেই সেখানে জুলুম-নির্যাতন সহ নানাবিধ অশান্তি মাথাচাঁরা দিয়ে ওঠে। জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটে। আর দোষ চাপানো হয় ইসলাম ও ইসলামী আদর্শ অনুসারীদের ওপর। মূলত, মানবরচিত কোন মতবাদই মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়। কারণ, মানুষের তৈরি মতবাদ কখনো নির্ভূল হবে না। তাই কোন মুসলমানের মানবরচিত মতবাদ সহ্য করার কোন সুযোগ নেই। বস্তুত অহীর বিধানই নির্ভূল বিধান। রাসূল (সা.) অহীর বিধান দিয়েই একটি ন্যায়-ইনসাফপূর্ণ কল্যাণমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। কিন্তু আমরা এমন এক কপাল পোড়া জাতি যে, আমাদের কোন সরকারই অহীর বিধান দিয়ে দেশ পরিচালনা করেনি। তারা ইসলামকে মসজিদ ও মাদরাসার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে। ফলে আমাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য জীবনের সকল ক্ষেত্রেই আমাদেরকে রাসূল (সা.)-এর সিরাত অনুসরণ করতে হবে। তিনি অহীর বিধানভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে খালিশপুর থানার ৯ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদোগে বাস্তুহারায় সিরাতুন্নবী (সা.) আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
ওয়ার্ড আমীর কাজী বায়জিদ এর সভাপতিত্ব ও সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম এর পরিচালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আব্দুল গফফার যশোরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খালিশপুর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের থানা সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্যান্যের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাওলানা আমানুল্লাহ, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুর রহিম, মন্তাজুর রহমান, দুবাই প্রবাসি ইঞ্জিনিয়ার মইনুল ইসলাম, আমেরিকা প্রবাসি বোরহান উদ্দিন, সৌদি প্রবাসি ইঞ্জিনিয়ার ফারুক হোসেন, মাওলানা ইমরান হোসেন, শ্রমিক নেতা মাওলানা আসাদুল্লাহিল গালিব, মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, হাফেজ নাছরুল্লাহ, কাজী নুরুল আলম, কাজী ওহিদুল ইসলাম, কাজী জিয়াউল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মানিক, ইলিয়াছুর রহমান, জাহিদুর রহমান, যুবনেতা বাদশা মোল্লা, আজিজুর রহমান, হাফেজ আনোয়ার হোসেন, তোরাব আলী, নুর আলী, আহাদ আহমেদ,ইয়াছির আরাফাত, হোসেন আলী, আব্দুল হান্নান, জিয়াউর ইসলাম, মো. হোসেন আলী, মেহেদী হাসান, তোরাফ আলী, মো. মানিক হোসেন, সেক্রেটারি ইলিয়াস হোসেন, জাহিদ হাসান, আরমান হোসেন, ব্যাংকার ইলিয়াছুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার একরামুল হাসান, খালিদ হাসান, সেক্রেটারি নুর আলী, হাফেজ ইউনুস আলী, সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম, মাওলানা মহসিন আলম, হান্নান মুন্সি, মাওলানা ওমর ফারুক, আবু হানিফ, ইয়াছির আরাফাত, মাওলানা আসলাম উদ্দিন কাজী আরাফাত হোসেন, কাজী ওহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারি বাদশা মোল্লা, আশরাফজ্জামান খোকন, খান মাসুদ, হোসেন আলী, ব্যাংকার হায়দার আলী, তাহাজ্জুদ হোসেন খোকন, কাজী শরিফুল ইসলাম, সোয়াইব হোসেন, সৌরভ হোসেন, বাইতুল হামদ জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব মুফতি বাশির আহমেদ, বাইতুল হামদ জামে মসজিদের সভাপতি মাস্টার কামারুজ্জামান (ইসলাম স্যার), বাস্তহারা হামিউস সুন্নাহ মাদরাসা ও বাস্তহারা মক্কী মাদানী জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব মুফতি আনিসুর রহমান, নবীনগর মোহাম্মাদিয়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাহমুদুল্লাহ, বাস্তহারা পাঞ্জেগানা মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।