নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নে কৃষি জমিতে গড়ে ওঠা একটা ইটভাটার ধোঁয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় ১০ একর জমির ধান। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১০ জন প্রান্তিক কৃষকসহ আরও ১০ জন গৃহস্থ। প্রায় কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে তাদের দাবি।
কিন্তু ইটভাটা মালিক কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না বরং গালাগাল করাসহ অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে এবং লিখিত অভিযোগ দিলেও কৃষি বিভাগ ও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এতে ক্ষতিগ্রস্থরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসককে লিখিত আবেদন করেছেন এলাকাবাসী।
খাতামধুপুর ইউনিয়নের কোচারপাড়া এলাকায় তানিয়া ব্রিকস লিমিটেড (টিবিএল) নামে ইটভাটার পাশে প্রায় ৮-১০ একর জমির কাঁচাপাকা ধান ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় পুড়ে চিটা হয়ে গেছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থলে গেলে এলাকার রাকিবুল ইসলাম নামে ক্ষতিগ্রস্ত যুবক বলেন, ইটভাটাটি একে কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে তার উপর সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চলছে। ভাটার কালো ধোঁয়ায় প্রতি মৌসুমেই ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এবারও প্রায় ১০ একর জমির ধান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা ইটভাটায় গিয়ে ধান নষ্ট হওয়ার কথা জানালে ভাটা ম্যানেজার কবিরসহ অন্যান্য কর্মচারীরা গালাগাল করাসহ অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে জানালে তিনিও ভ্রুক্ষেপ করেনি।
বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেই। কিন্তু তারপরও কোন সুরাহা না পেয়ে জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এতেও যদি আমরা ক্ষতিপূরণ না পাই তাহলে মানববন্ধন সহ বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনছারুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ভাটা ম্যানেজার ভুল বলেছেন। আমি সেভাবে বলিনি। বরং নষ্ট ফসলের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য বলেছি। এক্ষেত্রে ভাটা মালিক গুরুত্ব না দেয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।