মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : আর কয়দিন পরেই ঈদুল ফিতর, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরবে শহরে থাকা কয়েক কোটি মানুষ। পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনে নিরাপদে বাড়ি ফেরা আর আনন্দ ভাগাভাগি নিয়ে শঙ্কায় আছেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। ২৪ এর ভয়াবহ বন্যায় সড়কের পিচ উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে উপজেলার বিভিন্ন সড়কগুলো। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে যানবাহন এবং যাত্রীদের জন্য মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। তাই ঈদ যাত্রায় নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চালক ও সাধারণ মানুষ।

উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কগুলো ২০২৪ সালের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত হয়ে সড়কগুলো যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ সড়কে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন ও কয়েক লাখ মানুষ। এতে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটলেও সংস্কারের জোরালো উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

উপজেলার এসব সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিভিন্নস্থানে যাতায়াত করে থাকেন। চলাচল করছে বিভিন্ন ধরনের কয়েক হাজার ছোট বড় যানবাহন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মনোহরগঞ্জ বাজার থেকে আশিরপাড় বাজার পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত রয়েছে।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়কটি। চলাচলে অযোগ্য সড়কটি নিয়ে মনোহরগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহরিয়া ইসলাম ও উপজেলা প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হলে সম্প্রতি সড়কটি সংষ্কারের কাজ শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। সংস্কার শুরু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে যাত্রী ও পরিবহন চালকরা বলেন সংস্কার যেন দ্রুত শেষ করা হয়। মনোহরগঞ্জ আশিরপাড় সড়কটি সংস্কার শুরু হলেও উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে নাভিশ্বাস যাত্রী সাধারণের। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় গোয়ালিয়ারা রাস্তার মাথা থেকে মৈশাতুয়া বাজার হয়ে আমতলী বাজার পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সড়কে চলতে গিয়ে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ে। মনোহরগঞ্জ থেকে কাশিপুর হয়ে লক্ষণপুর, পোমগাঁও থেকে নরহরিপুর হয়ে শান্তির বাজার, আলীনকিপুর থেকে বাদুয়াড়া হয়ে তালতলা নরপাইয়া, কেয়ারি মোড় থেকে বাইশাগাঁও বাজার, বাইশগাঁও থেকে কোম্পানিবাজার, কেয়ারি থেকে মড়হ হয়ে লক্ষণপুর, নাথেরপেটুয়া থেকে জোড়পাইয়া, উত্তর হাওলা থেকে শিংজোড় পর্যন্ত সড়কের পিচ উঠে গিয়ে অবস্থা বেহাল। বন্যা পরবর্তী সময়ে এসব আঞ্চলিক সড়ক সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে যায়। সড়কের উপরের পিচ উঠে অনেক জায়গায় জমে ১ থেকে ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত কাদা ও বালি। এসব জায়গায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও স্থানীয়রা।