ধরলা-ব্রম্মপুত্র দ্বারা বিভক্ত কুড়িগ্রামের রৌমারী'র বড়াইকান্দি বাজার দারুচ্ছুন্নাহ্ দাখিল মাদ্রাসার টিন সেট ঘরে বসে লেখা পড়া করে হাজারো প্রতিভাবান মেধাবী আলোর দিশারি বেরিয়ে দেশ সেবা’য় নিয়োজিত থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি রয়ে গেছে আগের মতোই। প্রতিষ্ঠানের কোন উন্নয়ন হয়নি অর্ধশত বছরে। নেই আধুনিক ভবন, নেই কোন টয়লেট, নেই কোন ওয়াশরুম। বেহালভাবেই চলছে বড়াইকান্দি বাজার দাখিল মাদ্রাসাটির পাঠদান। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও থামেনি শিক্ষাদান কার্যক্রম। প্রশাসনের নিকট বহুবার আবেদন নিবেদন করেও মেলেনি কোনো সুফল তবুও জরাজীর্ণ টিন সেট ঘরে চালিয়ে যাচ্ছেন লেখা পড়া। ওয়াশরুম না থাকায় শিক্ষার্থীরা চরম দুরবস্থার কথা জানিয়েছেন সাংবাদিককে। চারতলা আধুনিক ভবনসহ মাদ্রাসাটির প্রাচীর ওয়াল, ওয়াশরুম সকল শিক্ষা উপকরণ অতি দ্রুত চেয়েছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারী এবং এলাকাবাসী।

এলাকার বাসিন্দারা তাদের সন্তানদেরকে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে শিক্ষার আলো ওয়ে আলোকিত ভালো মানুষ গড়তে বড়াইকান্দি বাজার দারুচছুন্নাহ্ দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের অর্থায়নে পরিচালিত করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৯৮৭ সালে এমপিওভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপিট ঢাবিসহ বিভিন্ন স্তরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে। এদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ সুপার মোঃ হাফিজুর রহমান, ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা মোঃ আলতাফ হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আছেন রুবেল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থ বিভাগে রয়েছেন মোঃ আসাদুজ্জামান, হাই কোর্টে রয়েছেন মোঃ আলতাফ হোসেন, প্রভাষক মোঃ ইব্রাহিম, খাদ্য অধিদপ্তরে আছেন মোঃ জাকির হোসেন, সচিবালয়ে রয়েছেন মোঃ আইয়ুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে রয়েছেন মোঃ ফয়সাল হক, বাংলাদেশ সচিবালয়ে রয়েছেন মোঃ আল মামুন এবং দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে রয়েছেন মোঃ নূর আলমসহ আরও অনেকেই রয়েছেন বিভিন্ন দপ্তরে।

Untitled.jpg10

আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলাচল তো দুরের কথা মাদ্রাসাটিতে একটি টয়লেট, ওয়াশরুম কিংবা শিক্ষার্থীদের বসার মতো নেই পর্যাপ্ত বেঞ্চ, নেই লেখার বোর্ডও। নেই কোন আধুনিক সরঞ্জামাদী। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অবহেলার শিকার হয়েছে প্রশাসনের নজরে।

এমতাবস্থায় মাদ্রাসার বর্তমান সুপার জনাব মোঃ নূরুল ইসলাম শিক্ষকমণ্ডলী অভিভাবক এবং ম্যানেজিং কমিটির দাবি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য বসার বেঞ্চ, ওয়াশব্লোক, টয়লেট জরাজীর্ণ টিন সেট ঘর মেরামতসহ প্রাচীর ওয়াল, শিক্ষা সরঞ্জাম এবং চারতলা আধুনিক ভবন খুব প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন- স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী, শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা।

এখানে উল্লেখ্য যে, রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মাদ্রাসা হালহকিকত তুলে ধরে বহুবার আবেদন নিবেদন করেও মেলেনি নুন্যতম কোনো সুফল। বিষয়টি মানবিকতার সাথে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন- বর্তমান সুপার মোঃ নূরুল ইসলাম শিক্ষকমণ্ডলী অভিভাবক এবং সচেতন মহল ও শিক্ষার্থীরা।

মাদ্রাসাটির সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার হালদারকে রোববার দুপুর ১২:১৭ মি: মোবাইলে কল দিলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।