DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

গ্রাম-গঞ্জ-শহর

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মসজিদ মিশন সম্মেলনে মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবেদীন

ইসলাম কায়েমের জন্য মসজিদের ইমাম খতীবগণকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে

বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন বলেন, যুগে যুগে নবী রাসুলগণ পরিক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরো
Printed Edition
ctg

বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন বলেন, যুগে যুগে নবী রাসুলগণ পরিক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন। দ্বীনি আন্দোলন করতে গিয়ে ওলামায়ে কেরাম নবী গণের উত্তরসূরী। তাদেরকে নবী রাসুলদের সেই গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের মসজিদ মাদরাসা গুলোকে সে আদলে গড়তে হবে। আমাদেরকে বেশি বেশি ইলমে দ্বীন চর্চা করতে হবে। বাংলাদেশে ইসলাম কায়েমের জন্য মসজিদের ইমাম খতিবগণকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আগামী নির্বাচনে কুরআনের পক্ষে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগরী উদ্যোগ বাংলাদেশ মসজিদ মিশন সম্মেলন প্রধান অতিথি বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, মসজিদ হলো ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান। মসজিদের খতিব সাহেবের বক্তব্যে সব শ্রেণী পেশার মানুষসহ সকল দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা শুনে থাকেন। সমাজকে পরিবর্তন করতে হলে মসজিদে ভুমিকার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে খতিব সাহেবগণ অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানান যেন আইন শৃঙ্খলা কমিটি সহ সকল কমিটি গঠন করার ক্ষেত্রে মসজিদের খতিব এবং ইমামগণকে অন্তর্ভুক্ত করে মসজিদ কেন্দ্রীক গণশিক্ষা কার্যক্রম যেন আরো গতিশীল হয় সেজন্য তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান।

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, ১৯৭৩ সালে ২৫ নবেম্বর বাংলাদেশ মসজিদ মিশন দেশের কঠিন ক্রান্তিকালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যখন ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলনের চরম দূর্দিন ছিল। আলেম ওলামাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা হতো, সকলের কন্ঠকে স্তব্ধ করা হয়েছিল। মসজিদের নামে কাজ করতে কোন বাঁধা দেয়া হয়না। ইমাম ও খতিবগণ যদি ঐক্যবদ্ধ ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে আমরা মসজিদের এলাকায় কোন সুদ, ঘুষ, মদ জুয়া অশ্লীলতা বেহায়াপনা থাকবে না, তাহলে কারো সাহস নাই এগুলো চর্চা করার। এজন্য কুরআনকে বুকে নিয়ে সমাজ উন্নয়ন মুলক কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ মোহছেন আল হোসাইনী সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ছলীমুল্লাহ হাবিবী ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন মাহবুবের সঞ্চালনায় উক্ত সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সাবেক সভাপতি মাওলানা এ বি এম ছিদ্দিকুল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ ছ ম সলিমুল্লাহ, পতেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ মমতাজুর রহমান, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সাবেক সভাপতি মাওলানা মামুনুর রশীদ নূরী, চট্টগ্রাম কলেজ মসজিদে খতিব মাওলানা মুহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর প্রমুখ। উক্ত সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এ বি এম মফিজুর রহমান।