=চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) হিসাব বিভাগে কর্মরত তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি কর্পোরেশন–২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাইকার আওতায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সিরাজউদ্দৌলা রোড শাখায় পরিচালিত একটি হিসাব (নম্বর–০১০১৮৩৬০০০১০৩) থেকে চসিক মেয়রের অনুকূলে ইস্যুকৃত চেক ভাউচার পরিবর্তন করে অন্যভাবে ব্যবহার করা হয়। এতে প্রায় ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকারও বেশি আত্মসাৎ করা হয়।
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আগ্রাবাদের অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের বাণিজ্যিক এলাকা কর্পোরেট শাখার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। একইসঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার কারণে অগ্রণী ব্যাংকের আরও একজন কর্মকর্তা এবং চসিকের হিসাব বিভাগের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে দুদক।
দুদকের ২০২৪ সালের ১৩ জুনের পত্রের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নেয়। দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, সাড়ে তিন কোটি টাকার আত্মসাতের ঘটনায় চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির চৌধুরী, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (বিল) আশুতোষ দে ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (বাজেট) মাসুদুল ইসলামের দায়িত্বে অবহেলা ছিল।
এরই মধ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর চসিক সংস্থাপন শাখা হুমায়ুন কবির চৌধুরীকে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেয়। তবে এক সপ্তাহও না যেতেই ৫ অক্টোবর মেয়রের অনুমোদনে সেই পদোন্নতি বাতিল করা হয়। আদেশে বলা হয়, পদোন্নতির শর্ত অনুযায়ী প্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো বিরূপ তথ্য পাওয়া গেলে তা বাতিল বা সংশোধন করার ক্ষমতা কর্তৃপক্ষের রয়েছে। পরদিনই স্থানীয় সরকার বিভাগ অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় এবং বিষয়টি দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুদক ও স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করার জন্য চসিককে নির্দেশনা দেয়।