জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন- ভাষার জন্য জীবন দেয়ার ইতিহাস একমাত্র আমাদেরই রয়েছে। ভাষা শহীদ এবং অধ্যাপক গোলাম আযমসহ সকল ভাষা সৈনিকগণ আমাদের প্রেরণার উৎস। ৫২ থেকে ২৪ সকল আন্দোলনই ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে। ১৯৫২ সালে তৎকালিন শাসকগোষ্ঠীর ভাষা বৈষম্যের বিরুদ্ধে দেশ মাতৃকার গর্বিত সন্তানেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ভাষার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। ৭১ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় নিশ্চিত হয়। ২৪ সালে বাক স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে। বিজয়ের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে দলীয় সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই শহীদদের স্বপ্ন সার্থক হবে।
তিনি গত শুক্রবার রাতে মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। আলোচনা সভা শেষে ভাষা শহীদদের মাগফেরাত ও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মহানগর সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশে নির্বিঘেœ ভাষা দিবস পালন করতে পারছি। ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐক্যের চেতনায় আমাদের ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশবাসীকে ২য় স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। শহীদদের স্বপ্নের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে দেশপ্রেমিক জনতাকে ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ পরিহার করে দেশপ্রেমের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিজয়ের সুফল মানুষের দোরগড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোঃ নজরুল ইসলাম ও মাওলানা মাসুক আহমদ, মহানগর জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম, মু. আজিজুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা গিয়াস উদ্দিন।