বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএ খুলনার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলমের নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন ৩০ নম্বর কেডিএ এ্যাপ্রোচ রোডের বাস ভবনে অস্ত্র উদ্ধারের নামে অভিযান চালিয়েছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে কোন বাহিনী এ অভিযান চালায় সেটি না জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযান নাগরিক অধিকার খর্ব করার শামিল। কেননা মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে তার বাসায় যেভাবে তছনছ করা হয়েছে সেটি কোন সুস্থ মানষিকতার পরিচয় হতে পারে না। তিনি ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে চিকিৎসা সেবায় জড়িত। তার নিজস্ব একটি পরিচয় আছে। তিনি নিজে কোন লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রধারীও নন। অস্ত্র উদ্ধারের নামে তার বাসভবনের প্রতিটি কক্ষ বিশেষ করে বেডরুমেও তছনছ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় নগরীর সাতরাস্তা মোড়স্থ বিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং থেকে তিনি এসব কথা বলেন। তবে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএমএ বা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের অন্য কোন নেতা উপস্থিত ছিলেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি একান্তই তার ব্যক্তিগত। এজন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবেই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছেন।
অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোববার বিকেলে একদল আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ট্রমা সেন্টার নামীয় তার প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন বাসভবনে গিয়ে বাসায় অস্ত্র আছে উল্লেখ করে অভিযানের কথা জানায়। প্রায় দেড়ঘণ্টাব্যাপী বিভিন্ন কক্ষে অভিযানের নামে মালামাল তছনছ করা হয়। কিন্তু কোন অস্ত্র না পেয়ে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে চলে যায়।