বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশী জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ভারতীয় একটি ফিশিং ট্রলারসহ নয়জন জেলেকে আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে মোংলা সমুদ্রবন্দরের অদূরে ফেয়ারওয়ে বয়া সংলগ্ন গভীর সাগর এলাকা থেকে টহলরত নৌবাহিনীর সদস্যরা ট্রলারটি আটক করেন।
আটককৃত ট্রলারটির নাম ‘এফবি এনি’, যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ এলাকা থেকে এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ট্রলারটিতে থাকা নয়জন ভারতীয় জেলে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করে বেআইনিভাবে মাছ শিকার করছিলেন বলে নৌবাহিনীর সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।
নৌবাহিনীর টহল দল বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক ট্রলার ও জেলেদের মোংলার ফেরিঘাটে নিয়ে আসে এবং পরে মোংলা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ‘সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন ও অবৈধ মৎস্য আহরণ’-এর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, আটক ট্রলারটিতে প্রায় দেড় মেট্রিক টন টুনা মাছ পাওয়া গেছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জব্দকৃত মাছ নিলামের মাধ্যমে বিক্রি অথবা অন্য কোনো আইনানুগ প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে একই ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকার কাছ থেকে একাধিক ভারতীয় ফিশিং ট্রলার আটক করেছে নৌবাহিনী। গত ১৭ অক্টোবর একটি, এর আগে জুলাই মাসে দুইটি এবং আগস্ট মাসে আরও একটি ট্রলার আটক করা হয়েছিল। এসব ঘটনায় নৌবাহিনীর নিয়মিত টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা মনে করছেন, বঙ্গোপসাগরে মাছের প্রাচুর্য এবং বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা জোরদার থাকায় প্রতিবেশী দেশের কিছু মৎস্যজীবী অবৈধভাবে এদেশীয় জলসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করছে। তবে টহল ও নজরদারি বৃদ্ধির ফলে এমন অনুপ্রবেশের ঘটনা দ্রুত শনাক্ত ও প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে।