এম ফয়জুল ইসলাম ফয়সাল, মুরাদনগর (কুমিল্লা) : কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার গোমতী নদীর উপর নির্মিত বেইলি সেতুটি এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারোবহীন অবস্থায় পড়ে থাকায় সেতুর বেহাল দশা প্রতিদিন হাজারো মানুষের জীবনে চরম ভোগান্তি বয়ে আনছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সেতুর দুই প্রান্তে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় পথচারী ও যানবাহনের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য উপযোগী নয় এ সেতুটি। তবুও প্রতিদিন মালবাহী ট্রাক, বড় বাসসহ বিভিন্ন ভারী যান চলাচল করছে। কোনো ভারী যানবাহন সেতুর ওপর উঠলেই অপর প্রান্তের সব গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘ সময়, ফলে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট। এ সময় সেতুর দুই প্রান্তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনের লম্বা লাইন ভোগান্তিকে চরমে পৌঁছে দিচ্ছে। বিকল্প সড়ক না থাকায় মুরাদনগর এক্সপ্রেস ও ইলিয়টগঞ্জ এক্সপ্রেসসহ বেশ কয়েকটি বাস সার্ভিস বাধ্য হয়ে প্রতিদিন ব্রিজটি ব্যবহার করছে। এতে যাত্রীদের সময় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও জরুরি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে। অনেক ক্ষেত্রেই এটি জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকি ডেকে আনে।

অভিযোগ রয়েছে, সাবেক আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকলেও সেতুটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেননি। এমনকি গত জাতীয় নির্বাচনের আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নতুন বিকল্প সেতুর কাজ শুরু হবে এবং ২০২৫ সালের আগেই জনগণকে নতুন সেতু উপহার দেয়া হবে; কিন্তু প্রতিশ্রুতিটি বাস্তবায়ন হয়নি, বরং দিন দিন মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।