সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের উত্তর ইসলামপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। আহতরা হলেন,আশ্রাফ আলী (৪৫) তার ছেলে হৃদয় (১৫),মামাতো বোন সুরাইয়া আক্তার (২০), তাছলিমা বেগম (৩০), জাহিদ(১৮), আয়নালসহ (৪৫) মোট ১০ জন। গুরুতর আহত আশ্রাফ আলী , তার ছেলে হৃদয় ও মামাতো বোন সুরাইয়া আক্তারকে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্যকম্পপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গেলো শুক্রবার বিকালে উত্তর ইসলামপুর গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মো.ফয়সালের (৩৮)ছেলে সজিবের (১৬)সাথে একই এলাকার আশ্রাফ আলীর ছেলে হৃদয় (১৫) এর সাথে খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহের চুক্তি না করায় যশোরে ৬২ রাইস মিলের লাইসেন্স বাতিল
যশোর সংবাদদাতা : অবশেষে যশোরের ৬২ রাইস মিলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আমন মৌসুমে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের চুক্তি না করায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া চুক্তি অনুয়ায়ী চাল সরবরাহ না করায় অনেক মিল মালিকের জামানত কর্তন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ।
সূত্র জানিয়েছে, জেলায় সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ মিল রয়েছে ১৬৩টি। এর মধ্যে ১০১টি মিল চাল দেবে বলে চুক্তি করে। বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও বাকি ৬২ মিল মালিক চুক্তি করেননি। লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা থাকার পরও যে ৬২ মিল মালিক চুক্তি করেননি তাদের কাছে গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের কেউ-ই সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
যশোর জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গেল আমন মৌসুমে এ জেলায় ১৪ হাজার ২৪৭ টন সিদ্ধ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আতপ চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০১ টন। খাদ্য বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, আমন মৌসুমে ৭ হাজার ৩৭০ টন চাল সরবরাহ করেছেন মিল মালিকরা। তাদের অসহযোগিতার কারণে
আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। যে কারণে সংশ্লিষ্ট মিল মালিকদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া লাইসেন্সের মধ্যে ১০টি অটো ও ৫২টি হাস্কিং রাইস মিল রয়েছে। এ ছাড়া চুক্তি অনুয়ায়ী চাল সরবরাহ না করায় জামানত কর্তন করা হয়েছে অনেক মিল মালিকের।
এদিকে চুক্তিবদ্ধ কয়েকজন মিলার নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, সরকার চাল কিনছে ৪৭ টাকা কেজি দরে। বাজারে চালের দামের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত দামের পার্থক্য বিস্তর। তারা বারবার সরকার নির্ধারিত সংগ্রহ মূল্য বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য খাদ্য বিভাগের কাছে দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সরকার সেদিকে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। সরকার নির্ধারিত দামে চাল দিলে তাদের পুঁজি বাঁচে না।
৬২ মিলারের লাইসেন্স চলতি মাসে বাতিল করা হয়েছে উল্লেখ করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেফাউর রহমান বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মিলারদের বিরুদ্ধে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ আদেশে ২০২২-এর ৭ ও ৮ বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।