গ্রাম-গঞ্জ-শহর
পণ্য খালাসের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লাইটার জাহাজকে চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়ার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে থাকা বড় জাহাজ থেকে আমদানি পণ্য বোঝাইয়ের পর লাইটার জাহাজগুলোকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দরসীমানা ছাড়তে নির্দেশনা জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে এবং বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে জনস্বার্থে এমন নির্দেশ দিয়ে বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছে বন্দর।
Printed Edition
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে থাকা বড় জাহাজ থেকে আমদানি পণ্য বোঝাইয়ের পর লাইটার জাহাজগুলোকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দরসীমানা ছাড়তে নির্দেশনা জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে এবং বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে জনস্বার্থে এমন নির্দেশ দিয়ে বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছে বন্দর।
বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি কনজারভেটরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র রমযান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সকল পণ্যের সাপ্লাই চেইন অবিঘ্নিত রাখা, বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখা ও নিরাপদ নৌ চলাচলের স্বার্থে মালামাল লোড করার পর লাইটার জাহাজগুলোকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দর সীমানা ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় চট্টগ্রাম বন্দর আইন এবং আন্তর্জাতিক বন্দর ও জাহাজ সুবিধা (আইএসপিএস) কোড অনুযায়ী প্রযোজ্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল হতে পণ্যবোঝাই করার পর লাইটার জাহাজগুলো যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই পোর্ট লিমিটের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দিনের পর দিন অবস্থান করে। যা পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা এবং সাধারণ জনগণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও ভোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এভাবে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধির অপচেষ্টা রাষ্ট্র ও জনস্বার্থের বিরোধী উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সীমিত এলাকায় এত অধিক সংখ্যক লাইটার জাহাজের অবস্থানের কারণে নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি অন্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনাও বিঘ্নিত হয়।
প্রসঙ্গত, লাইটার জাহাজের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে। এ অবস্থায় ৪০০টিরও বেশি বেসরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন জাহাজ বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে অলস পড়ে থাকায় সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটছে। এতে দেশের ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে দেখা দিয়েছে তীব্র কন্টেইনার জট, যা বন্দরের অপারেশনাল চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। এতে আর্থিকভাবেও ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট অংশীদাররা।