দাউদকান্দি (কুমিল্লা): কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতলী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কল্যাণপুর ব্রিজটি এখন এলাকাবাসীর কাছে সাক্ষাৎ এক “মরণফাঁদ”। প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে তিন গ্রামের প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার লোক যাতায়াত করে। কংক্রিটের ঢালাই ধসে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে ব্রিজের মাঝখানে। সেই গর্তের ওপর স্থানীয়দের বিছানো নড়বড়ে কাঠের পাটাতন দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। যেকোনো মুহূর্তে পাটাতন ভেঙে বা পা ফসকে বড় ধরনের প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলেও নিরুপায় হয়েই এই পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে।সরেজমিনে গেলে চোখে পড়ে এক ভয়াবহ দৃশ্য। কংক্রিটের তৈরি ব্রিজটির মূল অংশের একাংশ ধসে নিচে পড়ে গেছে। স্থানীয়রা প্রায় ১৫ বছর পূর্বে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলাচলের জন্য সেই গর্তের ওপর কোনোমতে কয়েকটি কাঠের পাটাতন বিছিয়ে দিয়েছেন। এই নড়বড়ে পাটাতনের ওপর দিয়েই দুরুদুরু বুকে পার হচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, নারী-শিশু ও বয়স্করা। একটু অসতর্ক হলেই সোজা নিচে পড়তে হবে।এর সাথে যুক্ত হয়েছে সংযোগ সড়কের করুণ দশা। বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভরা এই সড়ক দিয়ে রিকশা-ভ্যান চলাচলেও পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। জিংলাতলি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও সমাজসেবক মোঃ ইলিয়াস জানান , কল্যাণপুর সেতু ভেঙে যাওয়ায় আমরা দীর্ঘদিন তিন গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। আমাদের জিংলাতলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম রনি ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদের প্রকৌশলী বিভাগের আবেদন করেছেন। আমরা দ্রুত সমস্যার সমাধান চাই । কল্যাণপুর সেতুটির ব্যাপারে জিংলাতলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম রনি জানান , জিংলাতলী ইউনিয়নের কল্যাণপুর সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। আমি মানুষের ভোগান্তি বুঝি আমি নিজেও ভুক্তভোগী আমি সেতুটির স্থায়ী সমাধানের জন্য উপজেলা পরিষদের প্রকৌশলী বিভাগে আবেদন করেছি এবং নতুন করে একটি সেতু প্রস্তাব ও পাঠিয়েছি।
গ্রাম-গঞ্জ-শহর
দাউদকান্দিতে ভাঙা ব্রিজে মরণফাঁদ
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতলী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কল্যাণপুর ব্রিজটি এখন এলাকাবাসীর কাছে সাক্ষাৎ এক “মরণফাঁদ”।
Printed Edition