বগুড়ায় শেখ হাসিনা, নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আসামিদের তালিকায় একজন সংবাদকর্মীও রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতে সদর উপজেলার নিশিন্দারা উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা নয়ন মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় এ মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, গত বছরের ৪ আগস্ট শান্তিপূর্ণ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার ওপর আসামিরা হামলা চালান।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, যুগ্ম সম্পাদক মুনজুরুল আলম মোহন, আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুর রহমান দুলু, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন, জেলা যুবলীগ সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু।
এছাড়া আরও রয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম রাজ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ ও তার ছেলে জেলা যুব সংহতির সভাপতি হোসাইন শরিফ সঞ্চয়, জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত মহিলা দলের নেত্রী বিউটি বেগম, শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু, বিএনপি পন্থী সাংবাদিক অনন্ত সেলিম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়, আওয়ামী লীগ নেতা আল রাজি জুয়েল, মাশরাফি হিরো এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত প্রমুখ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে অন্যান্য আসামীরা কাটা রাইফেল, অস্ত্র, ককটেল, হাতবোমা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা চালান। আন্দোলনরতদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন তারা। এতে বাদী নয়ন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে আন্দোলনকারীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি হাসান বাসির বলেন, “আহত নয়ন মিয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্তাধীন এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”