২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পলাশীর পরাজয়ের জের ধরে বাংলায় একের পর এক যে বয়ান তৈরি করা হয় তা ছিল ভারতীয় সা¤্রাজ্যবাদের পক্ষে। মুসলমানদের পাঁচশো বছরের শাসনের ফলে প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস, শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিমূলক আদর্শকে পাশ কাটিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটানো হয় সাম্প্রদায়িকতা ও মুসলিম চেতনাবিরোধী উগ্রবাদিতার। তাঁরা জাতীয় স্বার্থকে রক্ষার জন্য জাতীয় ঐক্যকে অটুট রাখার আহ্বান জানান।
সোমবার বিকেলে নগরীর শাহ মখদুম কলেজ সেমিনার কক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে হেরিটেজ রাজশাহী। এতে প্রধান অতিথি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন গবেষক-লেখক হেরিটেজ সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী। “পলাশী-পরবর্তী বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের স্বরূপ” শিরোনামে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গ্রন্থপ্রণেতা সরদার আবদুর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, রাজশাহী বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট আবুল কাসেম, ড্যাব-এর বিভাগীয় সভাপতি ডা. ওয়াসিম হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পারভেজ আজহারুল হক ও অধ্যাপক ড. সাহাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী, কবি মোস্তাক রহমান ও ছাত্রনেতা মিশকাত মিশু। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কথাশিল্পী ডা. নাজিব ওয়াদুদ, শাহ মখদুম কলেজের অধ্যক্ষ এএসএম রেজাউল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা পলাশী থেকে শিক্ষা নিয়ে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের বয়ান নির্মাণের আহ্বান জানান।
রাবিতে পলাশী দিবস পালন
রাবি রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রথমবারের মতো ঐতিহাসিক পলাশী দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার ক্যাম্পাসে এক মৌন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সেন্টার ফর হেরিটেজ স্টাডিজ-এর আয়োজনে মৌন মিছিলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব। এসময় বক্তারা বলেন, ২৩ জুনের ইতিহাস আমাদের জন্য একটা বড় শিক্ষা। আমাদেরকে ঘরের ভেতরের শত্রু এবং মিত্র চিহ্নিত করতে হবে। ঐতিহাসিক মুহূর্তে যারা নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তাদের পরিণতি মানুষ শত বছরের বিবর্তনেও ঘৃণার সঙ্গে স্মরণে রাখবে। আমাদের জাতীয় স্বার্থকে রক্ষার জন্য জাতীয় ঐক্যকে অটুট রাখতে হবে। জাতিকে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকভাবে উন্নত করতে আমাদের সাম্প্রতিক ইতিহাসের পাশাপাশি শেকড়ে থাকা ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সত্যিকারের সোনার বাংলা গঠনের পথে অগ্রসর হতে হবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দীন খান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহাবুবুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম কনক, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।