জয়পুরহাট সংবাদদাতা : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় নিখোঁজের ৯ দিন পর তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র কাফি খন্দকারের (৮) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে একটি পুকুরের পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির পরিবারের দাবি কাফিকে হত্যা করে তার লাশ পুকুরের পাড়ের ঝোপঝারের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
নিহত স্কুলছাত্র কাফি খন্দকার ক্ষেতলাল উপজেলার শ্যাওলাপাড়া গ্রামের সঞ্চয় খন্দকারের ছেলে। সে স্থানীয় নশিরপুর দৌলতগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে বাড়ির পাশে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা করছিলেন কাফি খন্দকার। সেদিন সন্ধ্যার আগে অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও নিখোঁজ হয় সে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে থানায় জিডি করে। এরপর শনিবার দুপুর দুইটায় শ্যাওলাপাড়া গ্রামের একটি পুকুরের পাড়ে তার অর্ধগলিত মরদেহ দেখেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরিবারের দাবি তাকে হত্যার পর লাশ পুকুরের পাড়ে ফেলে রাখা হয়েছে।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপেন্দ্রনাথ সিংহ জানান, যেহেতু শিশুটির লাশ গলে-পচে গেছে, তাই কিভাবে মারা গেছে বোঝা যাচ্ছেনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।