গত রোববার ২ মার্চ) কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, অবৈধ সরকারের অবৈধ সিদ্ধান্তে ২০০৯,সালে আওয়ামী লীগের দলীয়করণের অংশ হিসেবে ইমামতি থেকে সরিয়ে দেয়া, ঈদগাহের মোতাওয়াল্লি দেওয়ান ফাত্তাহ দাদ খান মঈন কর্তৃক নির্ধারিত ইমাম মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহকে পুনরায় ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জানা গেছে, মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় আওয়ামী লীগ দখলদারিত্বে তৎকালীন জেলা প্রশাসক অনেকটা চাপ এবং হাসিনা সরকারের সুদৃষ্টিতে আসতে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয় ,পাশাপাশি মোতাওয়াল্লির অধিকারকেও ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
ওয়াকফ দলিলের তোয়াক্কা না করে তৎকালীন জেলা প্রশাসক দলীয় আস্থাশীল 'ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ'এর চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সে সময় এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও মুসল্লিদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও, পরিস্থিতির কারণে অর্থাৎ হাসিনার ভয়ে সারাদেশের মত নিশ্চুপ নিরবতা পালন করে সবাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার দেশ থেকে পালানোর পর , সমস্ত দেশ যখন আওয়ামী লীগের বলয় মুক্ত হতে শুরু করে, তখন কিশোরগঞ্জের অন্যতম প্রধান মাওলানা নুরুল্লাহ। যিনি মনোণিত ছিলেন ঈদগাঁহ মাঠ দানকারী তৎকালীন জমিদার নবাব দেওয়ান দাদউ দাদ খানের ওয়াকফ দলিলের মোওয়ালী কর্তৃক।
তিনি ইমামতি করেছেন দীর্ঘদিন। পরবর্তী সময় তার ছেলে মুফতি ছাইফুল্লাহকে ইমাম হিসেবে মনোনীত করা হয়। তিনি খুবই সুনামের সঙ্গে সবার সন্তুষ্টি অর্জন করেই ইমামতি করে আসছিলেন।
ঈদগাহের বর্তমান মোতাওয়াল্লি দেওয়ান ফাত্তাহ দাদ খান মঈন বলেন, শোলাকিয়া ঈদগাহের ওয়াকফ দলিল অনুযায়ী ঈদগাহের ইমাম ও ঈদের জামায়াতের সময় নির্ধারণ করার কথা মোতাওয়াল্লির।
কিন্তু বিগত দিনে মোতাওয়াল্লির সেই ক্ষমতাকে কেড়ে নিয়ে অন্যায়ভাবে মোতাওয়াল্লির মনোনীত মুফতি ছাইফুল্লাহকে সরিয়ে নগ্নভাবে দলীয় ইমাম নিয়োগ দেয় আওয়ামী সরকার ।
কিন্তু এখন আর সে সময় নেই, হাসিনা এবং তাদের সাংগপাংগদের বর্তমান অবস্থা দেখে ভবিষ্যতে কেউ আর মসজিদ, মাদরাসা ও মন্দিরে দখলদারিত্ব করবে না বলে আমার বিশ্বাস।পবিত্র ঈদুল ফিতরে নামাজে এই নতুন ইমাম ইমামতি করবেন।