নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার হাসান মাহমুদ নিরব (২২) নামে এক যুবক শশুর বাড়ি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান তার স্ত্রী মিম অপরদিকে ছেলের পিতার অভিযোগ সন্তানকে মেরে ফেলে ঝুলিয়ে রেখেছেন শশুরের পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলার তেনাচুরা কামারহাটি (আব্দুলপুর) এলাকায় শ্বশুর তৈয়ব আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিরব বাগাতিপাড়া উপজেলার খাটখৈইড় গ্রামের রবিউল ইসলাম ও রুবিনা বেগম দম্পতির ছেলে। কয়েক মাস আগে তিনি পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলার তেনাচুরা কামারহাটি এলাকার মীম আক্তার (১৮)-কে বিবাহ করেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা এলাকার বাইরে ছিলেন। বাড়িতে ছিলেন শুধু নিরব ও তার স্ত্রী। স্ত্রী বাড়ির বাইরে কাজ করছিলেন এবং নিরব ঘরের ভেতরে ছিলেন। ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পাওয়ায় ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলে দেখা যায় ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে নিরব।পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইসমাইল হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে নিরবের পিতা রবিউল ইসলাম বলেন,আমার ছেলের কোন নেশা বা খারাপ কাজের সাথে লিপ্ত নয়,সকালে আমার ছেলে কলেজে গিয়েছে তারপর দুপুরে বাসায় আসে তাত্ক্ষণিক শশুর বাড়িতে যায় আমরা এতটুকু জানি, হঠাৎ বিকেলে খবর আসে আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে, এটা কখনোই সম্ভব না, আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না, ছেলের শশুরের পরিবার মেরে ফেলে ঝুলিয়ে রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনের সহায়তা নেবো।

নিরবের শাশুড়ী বলেন,আমার আত্মীয়(জা) অসুস্থ হওয়ায় তাকে দেখতে আমরা সকলেই আড়ানী গিয়েছিলাম, পরে আমরা জানতে পারি নিরব আত্মহত্যা করেছে, কিভাবে কি কারনে করেছে আমরা এখনো জানিনা,এটা আমার মেয়ে মিম বলতে পারবে কিন্তু তার স্বামীর মৃত্যুতে শোকাহত তাই কিছু বলছে না।

বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন । ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।