কর্ণফুলী উপজেলা একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় এখানে যক্ষা (টিবি) রোগের প্রকোপ তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে, সচেতনতার অভাবে অনেকেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন না, ফলে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত হয়। কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এই সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে তাদের লক্ষ্য এলাকার সমস্ত যক্ষারোগীকে বিনামূল্যে সরকারি চিকিৎসা সেবা প্রদান নিশ্চিত করা।
গত ৭ এপ্রিল ২০২৫ কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর সম্মেলন কক্ষে যক্ষা রোগের নির্ণয় ও চিকিৎসা নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন : উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছাম্মৎ জেবুন্নেসা মূল বক্তা ছিলেন জুনিয়র কনসালটেন্ট ( মেডিসিন) ডা. রোমানা আফাজ, যিনি যক্ষা রোগের ন্যাশনাল গাইডলাইন নিয়ে আলোচনা করেন। তাছাড়া গাইনিকোলজিক্যাল টিবি নিয়ে আলোচনা করেন কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. নাজনিন সুলতানা এবং শিশুদের যক্ষা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন ডা. তাসিন সুলতানা।
এছাড়াও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন আউটডোর ও বিভিন্ন সাব-সেন্টারের মেডিকেল অফিসারবৃন্দ, ন্যাশনাল টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার, ব্র্যাকের রিজিওনাল অফিসারসহ কর্ণফুলী উপজেলার যক্ষা নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীরা।
যক্ষা নির্ণয় ও চিকিৎসায় কর্ণফুলীর সেবা: এক্সপার্ট টেস্ট : এই পরীক্ষাটি যক্ষা রোগ শনাক্তের অত্যন্ত আধুনিক ও কার্যকর পদ্ধতি, যার বাজার মূল্য ২ হাজার টাকার বেশি। কিš‘ কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই পরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হয়। বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ: রোগ নির্ণয়ের পর সুস্থ হওয়া পর্যন্ত সমস্ত ওষুধ সরকারি খরচে দেয়া হয়। এমনকি, উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীর বাড়িতে গিয়ে ওষুধ পৌঁছে দেন, যাতে চিকিৎসা নিশ্চিত হয়।
সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কাশি, হালকা জ্বর ও রাতে ঘাম, ওজন কমে যাওয়া, দুর্বলতা ও ক্ষুধামন্দা-এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবিলম্বে নিকটস্থ কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কফ পরীক্ষা করান। মনে রাখবেন, বাংলাদেশ সরকার যক্ষা রোগ নির্মূলে সব ধরনের পরীক্ষা ও চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিয়ে থাকে।