দুমকি (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা : দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে এক কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। নির্যাতিত শিক্ষার্থী জুলাই বিপ্লবে শহীদ হওয়া জসীম উদ্দীনের কন্যা। এ মর্মান্তিক ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ছুটে যান।

হাসপাতালে ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তিনি তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপর তিনি শহীদ জসীম উদ্দীনের কবর জিয়ারত করতে যান এবং পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে উপস্থিত সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নাহিদ ইসলাম দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। নাহিদ ইসলামের সফরসঙ্গী ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব তামিম আহমেদ এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব জাহিদ হাসান।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহীদ পিতার কবর জিয়ারত শেষে নানা বাড়ি ফেরার পথে দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে ভয়াবহ এ ঘটনা ঘটে। মুন্সিবাড়ির কাছে পৌঁছালে স্থানীয় মৃত মামুন মুন্সীর ছেলে সাকিব মুন্সী (১৯) ও সোহাগ মুন্সীর ছেলে সিফাত মুন্সী (২০) তাকে জোরপূর্বক সড়কের পাশে একটি নির্জন বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। পরে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে। এখন পর্যন্ত অপরাধীরা পলাতক রয়েছে, তবে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়ছে।