মিছবাহ উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) : ঈদগাঁও উপজেলার একমাত্র সরকারি তালিকাভুক্ত স্টেডিয়াম সংস্কারে উদ্যোগ নেই।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঈদগাহ স্টেডিয়ামের উত্তর পাশের গোলবারটি ভেঙে গেছে কয়েক বছর আগে। কিন্তু সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। তাছাড়াও চতুর্পাশে পানি নিস্কাসনের জন্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে এ স্টেডিয়াম। এদিকে স্টেডিয়ামের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা না থাকায় অনুশীলন ব্যহত হচ্ছে প্রফেশনাল খেলোয়াড়েদের। তাছাড়াও স্টেডিয়াম অরক্ষিত হওয়ায় রাতের বেলায় জুয়াড়ি ও মাদক সেবীদের আড্ডায় পরিণত হয়।
কক্সবাজার জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত অফিসিয়াল ভবন ও টয়লেট গুলো অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন রয়েছে কয়েক বছর ধরে। হযবরল অবস্থায় পরিণত হয়েছে এ স্টেডিয়াম।
এ বিষয়ে ঈদগাঁও উপজেলা ফুটবল ট্রেনিং সেন্টারের উপদেষ্টা ক্রিড়া সাংবাদিক মিছবাহ উদ্দিন বলেন, উপজেলার একমাত্র সরকারি তালিকাভুক্ত স্টেডিয়ামটি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। এই মাঠে সবাই বিভিন্ন সরকারি আয়োজনকে কেন্দ্র করে দায়িত্বশীল হয়ে উঠলেও পরবর্তীতে কাউকে দেখা মিলে না। মাঠ সংস্কার কিংবা ক্রিড়াঙ্গন নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই। অথচ এই মাঠে ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলায় শত শত খেলোয়াড় অংশ গ্রহণ করে থাকেন। ক্রীড়াঙ্গন সচল রাখতে দ্রুত এই মাঠ সংস্কার করার দাবী জানান তিনি।
ঈদগাঁও ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান বলেন বর্ষা মৌসুমে সমগ্র মাঠ জুড়ে পানি চলাচল হওয়ায় অনুশীলনের অনুপযোগী হয়ে পড়ে এ স্টেডিয়াম। যা খুব শিঘ্রই সংস্কার জরুরি।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমার মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।