গাইবান্ধা সংবাদদাতা : জামায়াতে ইসলামীর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টীম সদস্য অধ্যাপক আজিজুর রহমান সরকার বলেছেন, জামায়াত বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে চায়। দেশের একজন সরকারপ্রধান দুপুরের ভাত না খেয়ে পাশের দেশে চলে যেতে বাধ্য হন। এই সব কিছুর মূলে রয়েছে কর্তৃত্ববাদী শাসন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির নামে বিভাজন বা বিভক্তি চায় না। অন্যান্য দলগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা থাকবে। কিন্তু আমরা প্রতিহিংসায় যাবো না। কোনো ব্যক্তির অধিকার ও মর্যাদার জন্য তিনি কোন দলের সেটা দেখা হবে না। সবার অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে চায় জামায়াতে ইসলামী। তাই পিআর পদ্ধতি চালু হলে ফ্যাসিস্ট তৈরি হওয়া বন্ধ হবে। পিআর হলে কর্তৃত্ববাদীর রাজনীতি বন্ধ হবে। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণের অধিকার নিশ্চিত হবে। আগে যে তকমা বা ব্র্যান্ডিংয়ের রাজনীতি ছিলো এটা বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। গত শুক্রবার গাইবান্ধা দারুল আমান ট্রাস্ট হলরুমে জুলাই জাতীয় সনদ ও পিআর পদ্ধতির ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে গাইবান্ধা জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিশেষ সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও গাইবান্ধা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, গাইবান্ধা-২ গাইবান্ধা সদর আসনের এমপি প্রার্থী মোঃ আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর, গাইবান্ধা-৫ ফুলছড়ি-সাঘাট আসনের এমপি প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল ওয়ারেছ ও জেলা নায়েবে আমীর, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকার প্রমুখ।